শান্তি সমাবেশের নামে নিজেদের কর্মীদের মারপিঠ করে ছুরিকাঘাত করে হত্যা-এমপি এম নাসের রহমান

প্রকাশিত: ৮:১১ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১, ২০২৩

শান্তি সমাবেশের নামে নিজেদের কর্মীদের মারপিঠ করে ছুরিকাঘাত করে হত্যা-এমপি এম নাসের রহমান

মনজু বিজয় চৌধুরী॥ সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি এম নাসের রহমান আওয়ামীলেগের শান্তি সমাবেশকে আরেকটা ভন্ডামি বলে মন্তব্য করে বলেছেন ওরা শান্তি সমাবেশের নামে নিজেদের কর্মীদের মারপিঠ করে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে। এই হলো তাদের শান্তি সমাবেশের নমুনা। আবার এই শান্তি সমাবেশে তারা লাঠি সোটা হাতে নিয়ে আসে।
শান্তি সামাবেশে কি কেউ কখনো লাঠি সোটা নিয়ে আসে?। লাঠি সোটা নিয়ে ওরা এখন শান্তি সমাবেশে আসে। আর আওয়ামীলীগের হ্যালমেট পার্টি পুলিশের সাথে একসাথে থাকে। কোনো জায়গায় আওয়ামীলীগারদের পুলিশ ছাড়া পাওয়া যায়না। কেন ভাই ?। তোমরা না নাকি বিপুল বিক্রমশালী দল। বাংলাদেশের নাকি সবচেয়ে বড় দল।
কিন্তু পুলিশ ছাড়াতো তোমরা রাস্তায় নামতে পারোনা। তোমরা সরকারিদল। তোমাদের সাথে পুলিশ লাগে কেন?। বিরোধী দলের বিরুদ্ধে তোমাদের পুলিশ নিয়ে আসতে হয় কেনো।
এই আওয়ামীলীগ হলো হিটলারের নাৎসি পার্টির প্রেতাত্মা। এটি ওই পার্টির একবিংশ শতাব্দির নতুন সংস্করণ। তিনি আওয়ামীলীগের উদ্দেশ্যে চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেন পারলে পুলিশ ছাড়া মাঠে আসেন।
তিনি ঢাকার মাতুয়াইলে বিএনপির শান্তি অবস্থান কর্মসূচী পালনের ওই সময়ের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন- সাজোয়াযান নিয়ে পুলিশ টিয়ার সেল মেরে মেরে আসছিলো।
আমি আমার নেতাকে জানিয়েছি। আমাদেরেকে যদি গ্যাস মাস্ক দেওয়া যায় কোনো অস্ত্রের দরকার নেই। যদি টিয়ার গ্যাসের মাস্ক প্রোভাইড করা যায়। তাহলে স্বৈরাচারের এই পুলিশকে আমরাও রাজপথে মোকাবেলা করতে পারবো।
ঢাকার প্রবেশ পথে বিএনপি ঘোষিত শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিতে পুলিশ এবং আওয়ামী সন্ত্রাসীদের যৌথ আক্রমণ, হামলা, নির্যাতন ও গণ গ্রেফতারের প্রতিবাদে মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি আয়োজিত সোমবার (৩১ জুলাই) বিকেল ৫টায় শহরের সৈয়দ শাহ মোস্তফা (র:) পৌর ঈদগাহ প্রাঙ্গনে প্রধান অথিতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, দেশের ৯০ ভাগ মানুষ বিএনপির সাথে রয়েছে। শেখ হাসিনার শুধু পায়ের নীচে মাটি রয়েছে। সেই মাটিটুকু ধরে রেখেছে পুলিশ বাহিনী।
তিনি পুলিশ সদস্যদের উদ্দ্যেশ্য করে বলেন-
ঢাকায় অবস্থান কর্মসূচী পালনের সময় পুুলিশের যারা টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেট ছুড়েছিল এগুলোর হিসেব জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের কাছে চলে গেছে। তাদের এখন ভাবার সময়, তারা এখন জনগনের সাথে থাকবে না স্বৈরাচারের সাথে থাকবে।
জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি সাবেক পৌর মেয়র ফয়জুল করিম ময়ুনের সভাপতিত্ব ও জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মো: হেলু মিয়া ও ১ম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো: ফখরুল ইসলামের যৌথ পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ও শ্রীমঙ্গল পৌর সভার মেয়র মহসীন মিয়া মধু, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন মাতুক, আশিক মোশারফ,জেলা যুবদল সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি জাকির হোসেন উজ্জল,পৌর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সরওয়ার  মজুমদার ইমন,স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক জিএম মোক্তাদির রাজু, কৃষক দলের আহবায়ক শামীম আহমদ, শ্রমিক দলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রসিক, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকিদুর রহমান সোহান, কলেজ ছাত্রদলের জনি আহমেদ, জামাল আহমেদ,মহিলা দলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামলী সুত্র ধর।
এসময় উপস্থিত ছিলেন -জেলা বিএনপির সহ সভাপতি বদরুল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক বকসি মিছবাহুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক ও পৌর বিএনপির সভাপতি আলহাজ মো: অলিউর রহমান, সহ-সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম রিপন, প্রচার সম্পাদক মো. ইদ্রিছ আলী, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান নিজাম, জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক সেলিম,জেলা কৃষকদলের যুগ্ম সাধারণ আব্দুল করিম ঈমানী,জেলা যুবদলের সাংগঠনিক হাফেজ আহমদ মাহফুজ, সদর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আমির মোহাম্মদ, পৌর যুবদলের আহবায়ক মাহবুবুর রহমান শিপন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শিবলু আহমদসহ জেলা ও বিভিন্ন উপজেলা, পৌর বিএনপি ও সকল অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা ।
এদিকে প্রতিবাদ সমাবেশ শুরুর আগে বিকেল তিনটা থেকে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে সভাস্থলে যোগ দেন জেলা-উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা। প্রচন্ড গরমের মধ্যেও সমাবেশে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের কয়েক হাজার নেতকর্মী অংশ নেয়।

0Shares