প্রকাশিত: ২:৪৫ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ৭, ২০২৩
ডায়াল সিলেট রিপোর্ট :: সিলেটের আখালিয়ার পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে পেরেছে পুলিশ। ফাঁকা গুলি, সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল নিক্ষেপের মাধ্যমে রাত পৌনে ২টার দিকে তারা উত্তেজিত জনতাকে অনেকটা সরিয়ে দিতে সক্ষম হয়।
মধ্যরাতে হঠাৎ উত্তাল হয়ে পড়ে সিলেট মহানগরের আখালিয়া এলাকা। আখালিয়ার ধানুপাড়াস্থ আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের প্রিন্সিপাল ও চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে পবিত্র কুরআন শরিফ পুড়ানোর অভিযোগ তুলে রবিবার রাত ১১টা থেকে সে এলাকায় স্থানীয় জনতার মাঝে উত্তেজনা শুরু হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের প্রিন্সিপাল ও চেয়ারম্যানকে প্রতিষ্ঠানটির একটি কক্ষে আটকে রেখে ক্ষুব্দ জনতার হাত থেকে রক্ষা করে। এসময় স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন।
সময় যত বাড়তে থাকে পরিস্থিতি তত উত্তপ্ত হয়। রাত ১২টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের বিশেষ টিম সিআরটি এবং জালালাবাদ ও কোতোয়ালি থানার অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে।
এসময় উত্তেজিনত জনতার একাংশ সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক অবরোধ করলে পুলিশ তাদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। অপরদিকে, আইডিয়াল স্কুলের চারদিকে কয়েক শ উত্তেজিত জনতা অবস্থান করছেন এবং বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
রাত সাড়ে ১২টার পর পুলিশ বাধ্য হয়ে ফাঁকা গুলি, সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করতে শুরু করে। পরে ধীরে ধীরে ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে শুরু করেন উত্তেজিত স্থানীয় জনতা।
এসময় আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের প্রিন্সিপাল ও চেয়ারম্যানকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
এদিকে, ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর অনেকেই ফেসবুকে মন্তব্য করছেন- প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ড. নুরুর রহমান একজন ধার্মিক মানুষ। তিনি কুরআন শরিফ পুড়ানোর মতো ন্যাক্কারজনক কাজ করতে পারেন না।
প্রকৃত ঘটনা তদন্তের মাধ্যমে খুঁজে বের করার দাবি জানিয়েছেন তারা।
তবে এ বিষয়ে পুুলিশের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী মাহমুদ ও সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ পিপিএমকে একাধিকবার ফোন দিলেও তারা কল রিসিভ করেননি।
Address: Kaniz Plaza, Zindabazar, Sylhet
United Kingdom, London Mobile :+447438548379
dialsylhetnews@gmail.com
Design and developed by AshrafTech