প্রকাশিত: ৮:৪৪ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৭, ২০২৩
সিলেট মহানগরের আখালিয়ার ধানুহাটারপাড়া এলাকার আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে পবিত্র কুরআন পোড়ানোর অভিযোগে এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের খন্ডকালীন শিক্ষক ইসহাক আহমদকে আটক করা হয়েছে। এনিয়ে এ ঘটনায় এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তিন শিক্ষককে আটক করা হলো।
র্যাব-৯ ও পুলিশের যৌথ অভিযানে তাকে সোমবার (৭ আগস্ট) বিকাল ৩টার দিকে টুকেরবাজার এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) উপ-কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এরআগে একই অভিযোগে রোববার মধ্যরাদে আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের প্রিন্সিপাল ও চেয়ারম্যান নুরুর রহমান (৫০) এবং একই কলেজের শিক্ষক মাহবুব আলম (৪৫) কে আটক করা হয়।
রোববার রাতে পবিত্র কোরআন শরীফ পুড়ানোর অভিযোগে সিলেট আখালিয়া এলাকায় রাতভর তুলকালাম ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানিয়েছে- রবিবার বিকালে ইসহাক আহমদ এক কার্টুন ও এক বস্তা ভর্তি কোরআন শরিফ দিয়ে যান নুরুর রহমানের কাছে।
কোরআন শরিফ দেওয়া ইসহাক সিলেট বেতারের ক্বারি ও আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের খন্ডকালীন শিক্ষক।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ (পিপিএম) বলেন, রবিবার রাত ১০টার দিকে নুরুর রহমান ও মাহবুব আলম বস্তার ৪৫টি কোরআন শরিফ কেরোসিন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলতে শুরু করেন। এসময় স্থানীয় লোকজন দেখে ফেলায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং এ দুজনকে মারধর শুরু করেন।
তিনি বলেন, এক পর্যায়ে প্রায় ১০ হাজার মানুষ ওই এলাকায় জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে আসে এবং জনতার হাত থেকে নুর ও মাহবুবকে উদ্ধার করে। এসময় উত্তেজিত জনতা পুলিশের দিকে ইট পাটকেল ছুঁড়তে থাকেন। এতে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন। পুলিশের কয়েকটি গাড়িও ভাঙচুর করা হয় এসময়। আহত পুলিশ সদ্যসদ্যরা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেল ও শর্টগান ব্যবহার করে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, রাতে ওই এলাকায় কোতোয়ালি থানা, জালালাবাদ থানা, সিআরটি ও গোয়েন্দা পুলিশের ৫ শতাধিক সদস্য কাজ করে। এছাড়া পুলিশের পাশাপাশি র্যাব-৯ এর একটি টিমও কাজ করে।
Address: Kaniz Plaza, Zindabazar, Sylhet
United Kingdom, London Mobile :+447438548379
dialsylhetnews@gmail.com
Design and developed by AshrafTech