প্রকাশিত: ১১:০৭ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৩
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :: রাষ্ট্রীয় সম্পদ আত্মসাতের অভিযোগে তিন বছরের কারাদণ্ড ও রাজনীতিতে পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে জেলে গিয়েছিলেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) পার্টির নেতা ইমরান খান। পরে উচ্চ আদালতে তাঁর সাজা স্থগিত হয়ে যায়।
রাষ্ট্রীয় গোপন নথি-সংক্রান্ত আরেকটি মামলায় এখনো জেলে আছেন ইমরান। এর মধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে নতুন আরেকটি অভিযোগ আনা হয়েছে। এ অভিযোগ প্রমাণিত হলে ইমরান খানের সর্বোচ্চ সাজা ফাঁসিও হতে পারে বলে দাবি করেছেন পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা।
বৃহস্পতিবার সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৯ মে প্রথমবারের মতো গ্রেপ্তার হয়েছিলেন ইমরান খান। ইসলামাবাদ হাইকোর্টের সামনে থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পাক রেঞ্জারস। এ ঘটনার জের ধরে রণক্ষেত্রে রূপ নেয় পাকিস্তানের বিভিন্ন শহর। পুলিশের সঙ্গে পিটিআই সমর্থকদের সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে।
সে সময় গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানিয়ে সামরিক বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালান ইমরানের সমর্থকেরা। একাধিক সরকারি ভবনসহ রাওয়ালপিন্ডিতে সেনাসদর দপ্তরেও হামলা চালানো হয়। এই ঘটনাতেই সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলা হয়েছে।
এই বিষয়ে লাহোর পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তা আনুশ মাসুদ জানিয়েছেন, গত ৯ মে যে বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেছিল তাতে ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিলেন পিটিআই নেতা ও সমর্থকেরা। সেদিনের ঘটনা নিয়ে পুলিশ পূর্ণ তদন্ত করেছে এবং প্রমাণ পাওয়া গেছে যে সামরিক বাহিনীর ওপর হামলা ও বিক্ষোভে উসকানি দেওয়ার মদদ দিয়েছিলেন ইমরান খান। তদন্তকারী দল তাদের অভিযোগপত্র লাহোরের সন্ত্রাসবিরোধী আদালতে জমা দেবে।
ইমরান খানের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা চলছে। যার মধ্যে তোষাখানা মামলা অন্যতম। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পাওয়া উপহার সরকারি কোষাগার বা তোষাখানায় জমা না করে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে।
এদিকে, ইমরান কারাগারে থাকা অবস্থায়ই পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে দেশটিতে আগামী জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
Address: Kaniz Plaza, Zindabazar, Sylhet
United Kingdom, London Mobile :+447438548379
dialsylhetnews@gmail.com
Design and developed by AshrafTech