প্রকাশিত: ১২:৪৫ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ৫, ২০২৩
ডায়াল সিলেট ডেস্ক: প্রায় ৮ বছর যাবৎ স্কুলে না গিয়ে বেতন-ভাতাদি উত্তোলন করছেন মৌলভীবাজার সদর উপজেলার সাতবাক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বিমলেন্দু গোস্বামী। দীর্ঘ প্রায় ৮বছর যাবৎ বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত রয়েছেন। তিনি বিগত ৬/০৪/২০১৫ইং সাতবাক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকে আজ পর্যন্ত বিদ্যালয়ে যাননি। জানা গেছে- সাতবাক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বিমলেন্দু গোস্বামী স্কুলে না গিয়ে সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে বসে অফিসের দাপ্তরিক কাজ করছেন। তাছাড়া বিদ্যালয়ের নামে বিভিন্ন বিষয় ভিত্তিক প্রশিক্ষনে যাচ্ছেন এবং ভাতাদি গ্রহণ করছেন। কিন্তু তিনি প্রশিক্ষন লব্ধ জ্ঞান বিদ্যালয়ের ছাত্র/ছাত্রীদেরকে প্রয়োগ করছেন না। এতে তিনি নানাভাবে লাভবান হলেও বিদ্যালয়ের কোমলমতি ছাত্র/ছাত্রীরা তাদের মৌলিক অধিকার শিক্ষা গ্রহণ থেকে অনেকটা বঞ্চিত হচ্ছেন। একটি সুত্রে জানা যায়, তিনি এর পূর্বের বিদ্যালয়ে থাকাকালীন সময় থেকেও উপজেলা অফিসে কাজ করছেন। তার একজন নিকট আত্মীয় উপজেলা শিক্ষা অফিসের একজন দায়িত্বশীল পদে থাকায় বার বার বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখাচ্ছেন। এ ব্যপারে জানতে চাইলে সাতবাক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মোঃ কামরুজ্জামান বলেন- একজন শিক্ষক এভাবে ৭/৮ বছর একটি বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকলে ঐ বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার মান পিছিয়ে যাবে, এটাই স্বাভাবিক। আমরা প্রতিকার চেয়ে মৌলভীবাজার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর গত ২৫/০৬/২০২৩ইং লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। কিন্তু অদৃশ্য কারণে প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না। সাতবাক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বিমলেন্দু গোস্বামী তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ স্বীকার করে বলেন- উপজেলা শিক্ষা অফিসের মৌখিক নির্দেশে অফিসে দাপ্তরিক কাজ করে আসছি। শিক্ষার অগ্রাধিকার পাবে বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা, এটাই জাতি প্রত্যাশা করে। যোগদানের পর থেকে শিশুরা শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এমন প্রশ্নের উত্তর তিনি এড়িয়ে যান। এ ব্যপারে জানতে চাইলে মৌলভীবাজার সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) অরবিন্দু কর্মকার বলেন- অফিসের দাপ্তরিক কাজে যারা এখানে আনছেন, দায় তাদের। আমি নতুন এসেছি। আগামী রবিবার থেকে বিমলেন্দু গোস্বামী বিদ্যালয়ে ক্লাস করবেন। স্কুলে ক্লাস না করে অফিসে দাপ্তরিক কাজ করা এইটা দৃষ্টতাপূর্ণ।
Address: 4th floor, Kaniz Plaza, Zindabazar, Sylhet 3100
isleworth, London. UK Mobile : +447438548379
Editor & Publisher : - Sohel Ahmed
Design and developed by AshrafTech