প্রকাশিত: ১:৩০ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ৬, ২০২৩
মনজু বিজয় চৌধুরী॥ চা শ্রমিক পরিবারের ৬ শিশুর লেখাপড়ার দায়িত্ব নিলেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলী রাজিব মাহমুদ মিঠুন। লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাওয়া এই ৬ শিশুকে বুধবার দুপুরে আবারো স্কুলে পাঠানো হয়েছে।শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রশাসন সুত্র জানায়, চা শ্রমিক সন্তান পুর্নিমা, সৃষ্টি ও বৃষ্টি অষ্টম, সপ্তম ও দশম শ্রেনির ছাত্রী। তারা শ্রীমঙ্গল শহরের উদয়ন বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্রী। তাদের বা-মা চা-শ্রমিক ও দিনমুজুর। সংসারে অভাব-অনটন। এদিকে স্কুলে বকেয়া পড়েছে সারা বছরের বেতন ও পরীক্ষার ফিস। তাই তারা লেখাপড়ারর প্রতি প্রবল ইচ্ছে থাকলেও স্কুলে না গিয়ে মাটি কাটার কাজে লেগে পড়ে। এদিকে তিষা ও কেয়া পঞ্চম শ্রেনির গন্ডি পেরিয়ে টাকার জন্য আর স্কুলে ভর্তি হতে পারে নি। ইতোমধ্যে চলে গেছে শিক্ষাবর্ষের ৯ মাস। তাই তারাও নেমে পড়ে মাটি কাটার কাজে। যা আয় হয় তা দিয়ে সংসারের কিছুটা হলেও হাল ধরছে। অপরদিকে সৌরভী টাকার জন্য কলেজে ভর্তি হতে পারছে না। নাই বই কেনার টাকাও। গত ৫-৬ দিন আগে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলী রাজিব মাহমুদ মিঠুন একটি প্রকল্প পরিদর্শনে যাবার পথে ডলুছড়ায় একটি মেয়েকে মাটি কাটতে দেখেন। তিনি গাড়ি থামিয়ে মেয়েটিকে ডেকে আনেন। তাকে মাটি কাটার কারণ জিজ্ঞাসা করায় সে জানায়, তার নাম পুর্নিমা। সে উদয়ন স্কুলের অষ্টম শ্রেনির ছাত্রী। স্কুলে তার সারা বছরের বেতন ও পরীক্ষার ফিস বকেয়া পড়েছে। তাছাড়া তার বাবা চা শ্রমিক। মা অসুস্থ। তাই স্কুলে না গিয়ে সংসারের কিছুটা হাল ধরতে মাটি কাটার কাজ করছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলী রাজিব মাহমুদ মিঠুন বুধবার সকলকে তার অফিসে ডেকে পাঠান। বুধবার দুপুরে ৬ শিশু তাদের মাকে নিয়ে ইউএনও মহোদয়ের অফিসে আসেন। তিনি মনোযোগ দিয়ে তাদের সবার কথা শুনেন এবং তাদের লেখাপড়ার দায়িত্ব নেন। তিনি তাৎক্ষনিক অফিসের লোক দিয়ে তাদের স্কুলে পাঠান। তিনি ৬ শিশুর সব সমস্যা সমাধানেরও আশ্বাস দেন।
Address: Kaniz Plaza, Zindabazar, Sylhet
United Kingdom, London Mobile :+447438548379
dialsylhetnews@gmail.com
Design and developed by AshrafTech