কুলাউড়ায় প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষনচেষ্টা, ট্রাইব্যুনালে মামলা

প্রকাশিত: ১১:১৫ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ১০, ২০২৩

কুলাউড়ায় প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষনচেষ্টা, ট্রাইব্যুনালে মামলা

ডায়াল সিলেট ডেস্ক ::  মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় এক প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষনের চেষ্টার অভিযোগে নারী ও শিশ নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে এজাহার দাখিল করেছেন ভুক্তভোগী গৃহবধু।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্রুনালের বিচারক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ ভুক্তভোগীর এজাহার গ্রহন করে গত ৫ অক্টোবর বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রদানের  জন্য ৭ দিনের সময় বেঁধে দিয়ে কুলাউড়া উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে আদেশ দিয়েছেন।

এজাহার সুত্রে জানা যায়, কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের জনৈক আবুধাবি প্রবাসীর স্ত্রীকে (২৮) একই ইউনিয়নের পূর্ব টাট্রিউলি গ্রামের মৃত কছির মিয়ার পুত্র শফিক মিয়া (৫০), মৃত মকবুল মিয়ার পুত্র আব্দুর রহমান (৪০) ও আইয়ুব আলীর পুত্র জয়নাল মিয়া (৩০) দীর্ঘদিন থেকে উত্যক্ত করে আসছিল। স্বামী প্রবাসে থাকার সুযোগে শফিক মিয়া প্রায় সময় ভুক্তভোগীকে অশ্লীল অঙ্গ-ভঙ্গি প্রদানসহ কুৎসিত কথাবার্তা বলে বিভিন্ন সময় কু-প্রস্তাব দিত। শফিক মিয়ার সাথে সাথে আব্দুর রহমান ও জয়নাল মিয়াও বিভিন্ন সময়  গৃহবধূকে কু প্রস্তাব দিত। তাদের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে ভুক্তভোগি গৃহবধু স্থানীয় মেম্বার ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের কাছে বিচার প্রার্থী হলে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তির সম্মুখে শফিক ও তার সহযোগীরা অনুতপ্ত হয় এবং ভবিষ্যতে ঐ গৃহবধুর সাথে কোন ধরনের খারাপ কথাবার্তাসহ কোন ডির্ষ্টাব করবে না বলে অঙ্গিকার করে।

কিন্তু গত ২৩ সেপ্টেম্বর রাতে প্রবাসীর স্ত্রী ঘরের বাহিরে প্রস্রাবখানায় যাওয়ার সময় শফিক মিয়া, আব্দুর রহমান ও জয়নাল মিয়া ঝাপটে ধরে মুখে কাপড় বেধে ধর্ষনের চেষ্টা চালায় । কোন রকমে গৃহবধু মুখের বাধা কাপড় সরিয়ে চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে ধর্ষন চেষ্টাকারীরা পালিয়ে যায়।

পরে বাড়ির লোকজন ও এলাকাবাসী গৃহবধুকে উদ্বার করে কুলাউড়া স্বাস্থ কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এবং চিকিৎসা করিয়ে  পরবর্তীতে কুলাউড়া  থানায় ধর্ষন চেষ্টাকারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিলে পুলিশ নানা টালবাহানা করে  সময় ক্ষেপন করে মামলা গ্রহন করেনি। ঘটনার ৭ দিন থানায় ধর্ণা দেওয়ার পর পুলিশ মামলা না নেওয়ার পরবর্তীতে গত ১ লা অক্টোবর মৌলভীবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ধর্ষন চেষ্টাকারী ৩ জনের বিুরদ্ধে মামলা করেন ঐ ভুক্তভোগী গৃহবধূ।

এ ব্যাপারে কর্মধা ইউনিয়নের ২নংওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল কাদির জানান, প্রবাসীর স্ত্রীর তাদের (আসামীদের) দ্বারা অতিষ্ট হয়ে আদালতে গিয়েছে। ইতিপূর্বে বিচার বৈঠকও হয়েছে।

এব্যাপারে কুলাউড়া উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা গতকাল সোমবার বিকেল ৪ টায় জানান, তিনি সোমবার পর্যন্ত আদালতের আদেশের কপি পাননি। আদালতের নির্দেশের কপি পাওয়ার পর সরেজমিন তদন্তক্রমে রিপোর্ট পুনরায় আদালতে প্রেরন করবেন।

0Shares