প্রকাশিত: ৯:৫১ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৭, ২০২৩
ডায়াল সিলেট ডেস্ক : মৌলভীবাজারের জুড়ীতে দীর্ঘদিন থেকে নদী ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে বেশ কিছু বাড়ীঘর। নদী গর্ভে নিজের পৈতৃক ভিটে মাটি, ঘর বিলীন হয়ে যাওয়ায় লোকজন অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। আবারও শুরু হয়েছে ভাঙন, আবারও জনমনে দেখা দিয়েছে হতাশা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ভারত থেকে নেমে আসা জুড়ী নদী এ গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গিয়ে হাকালুকি হাওর হয়ে কুশিয়ারা নদীতে মিশেছে। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে নদীতে স্রোত বেড়ে যায়। এখানে নদীতে বড় একটি বাঁক রয়েছে। এই স্থানে পানির ¯্রােতে দীর্ঘদিন যাবত ভাঙন চলতে থাকে। বর্তমান নদীতে এক সময় ৭০-৮০টি বাড়ীঘর ছিল। নদীর ভাঙনে পর্যায়ক্রমে বাড়ীঘর সরতে থাকে। বর্তমানে পুরো এলাকাটি নদীতে বিলীন হয়েছে। অবশিষ্ট এলাকাতে বর্তমানে নতুন করে ভাঙন শুরু হয়েছে। এমতাবস্থায় জনমনে আতংক দেখা দিয়েছে।
বিভিন্ন সময় নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত এ এলাকার বাসিন্দা মখলিছ মিয়া, আয়াজুল ইসলাম, এবাদুল্লাহ, সুলতান মিয়া, সুলেমান আহমদ, হাইবুন বেগম, ময়না মিয়া, দুলা মিয়ার বাড়ী নদীতে হারিয়ে বর্তমানে নদী তীরে অস্থায়ী ঘরে বসবাস করলেও নতুন করে আশংকায় ভুগছেন। এছাড়া ওই এলাকার একটি রাস্তা নদীতে বিলীন হয় অনেক আগে। লোকজন পার্শ্ববর্তী বাড়ীর ভিতর দিয়ে যাতায়াত করতেন। প্রতি বছর স্থানীয়রা ৪০/৫০ হাজার টাকা খরচ করে নিজেরা বাঁশ দিয়ে রাস্তাটি মেরামত করতেন। সরেজমিন দেখা যায়, প্রায় দুইশ ফুট জায়গা বাঁশ দিয়ে সেতুর মত তৈরি করে তার উপর মাটি দিয়ে রাস্তা তৈরি করা। স্থানীয় বাসিন্দা জালাল উদ্দিন জানান তার ভাতিজার বিয়ে উপলক্ষে প্রায় ৫০ হাজার টাকা খরচ করে এ সেতু তৈরি করা হয়েছে। এ সেতু দিয়ে ১০/১২টি বাড়ীর লোকজন যাতায়াত করেন, এদের বিকল্প কোন রাস্তা নেই।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন বলেন, স্থানীয়দের মুখে কথাটি শুনে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীকে নিয়ে এলাকাটি ঘুরে দেখি। বাড়ীঘর হারিয়ে বহু মানুষ নি:স্ব হয়েছে। এখনও মানুষ হতাশা ও আতংকে ভুগছে। আশা করি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিবেন।
জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ড মৌলভীবাজারের উপসহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, বর্ষায় নদীতে পানির স্রোত বেশী থাকে। তাই নদীর গতিপথ বদলে যায়। পাশে থাকা ঘরবাড়ি বিলীন হয়ে যায়। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Address: 4th floor, Kaniz Plaza, Zindabazar, Sylhet 3100
isleworth, London. UK Mobile : +447438548379
Editor & Publisher : - Sohel Ahmed
Design and developed by AshrafTech