ডায়ালসিলেট ডেস্ক :: কিশোরগঞ্জের ভৈরবে যাত্রীবাহী ট্রেন এগারসিন্দুর এক্সপ্রেসের সঙ্গে কনটেইনারবাহী ট্রেনের পৃথক সংঘর্ষে ১৭ জন নিহত এবং শতাধিক যাত্রী আহত হয়েছেন। পরে স্থানীয় এলাকাবাসীদের সহযোগিতায় আহত ব্যক্তিদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

 

এঘটনার পর চট্টগ্রাম, সিলেট ও নোয়াখালীর রেল যোগাযোগ বন্ধ থাকে। দীর্ঘ সাড়ে ৬ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর ঢাকার সঙ্গে আবারও চট্টগ্রাম, সিলেট ও নোয়াখালীর রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে। সোমবার রাত সাড়ে ১০টায় এক লাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

 

 

ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের কর্তব্যরত মাস্টার মো. জসিম উদ্দিন সংবাদমাধ্যমকে জানান, ভৈরবে দুর্ঘটনায় বিকেল ৪টা থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে এক লাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করা হয়।

 

এদিকে, রাত সাড়ে ১১টায় দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে রেলওয়ের মহাপরিচালক কামরুল আহসান সাংবাদিকদের জানান, দুর্ঘটনায় কারও গাফিলতা আছে কিনা- সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইতোমধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তে যারাই দোষী প্রমাণিত হবেন তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজসীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

 

এর আগে, বিকেল পৌনে ৪টায় ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনের ঢাকাগামী এগারো সিন্দুর ট্রেনের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা চট্টগ্রামগামী আরেকটি কনটেইনারবাহী ট্রেনের সংঘর্ষ হয়। এতে এগারোসিন্দুর ট্রেনের দুটি বগি উল্টে যায়।

 

 

জানা যায় যাত্রীবাহী ট্রেনটি আরেক লাইনে প্রবেশের আগেই ওই লাইনে অন্যআরেকটি কনটেইনারবাহী ট্রেন ঢুকে পড়ে। এতে ট্রেনটির পেছনের দিকে সংঘর্ষ হলে দুটি বগি উল্টে যায়। এতে বেশ কয়েকজন ঘটনাস্থলেই মারা যান।

 

 

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *