ঢাকা ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব দেবী বিসর্জন দিয়ে
প্রকাশিত: ১:৪৭ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ২৫, ২০২৩
ডায়ালসিলেট ডেস্ক :: দেবী বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। এক দিকে আনন্দ অন্য দিকে বিষাদের সুর আর চোখের জলে দেবী দুর্গাকে বিদায় জানিয়েছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। সনাতন ধর্মের বিশ্বাস অনুযায়ী, বিসর্জনের মধ্য দিয়ে মা দুর্গা তার সন্তান কার্তিক, গণেশ, লক্ষমী,সরস্বতীসহ কৈলাসে শ্বশুরবাড়ি ফিরে যাবেন। সকাল থেকে পুষ্পাঞ্জলি নেয়ার পাশাপাশি মায়ের প্রতিমা দর্শন করতে হিন্দু ভক্তবৃন্দরা বিভিন্ন মন্ডপে মন্ডপে ভিড় করেন। নারী, শিশুসহ সকল বয়সের হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা বিসর্জনে অংশ নেন।
মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) সকালে জেলার সব পূজা মন্ডপে দেবী দুর্গার বিজয়া দশমী বিহিত পূজার মাধ্যমে পালিত হয় দশমী। এরপর পূজার সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিকেল ৪টার পর পরই শুরু হয় প্রতিমা বিসর্জন। শঙ্খ, উলুধ্বনি, খোল-করতাল, ঢাক-ঢোল ও কাঁসার বাজনার সঙ্গে মৌলভীবাজার মনু নদীতে দূর্গাপূজা বিসর্জন ঘাটে সব মন্ডপের দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়।
গত ২০ অক্টোবর ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হয় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গোৎসব, এবছর জেলায় মোট ১০৩৬ টি মন্ডপের মধ্যে ৮৮৪ টি সর্বজনীন এবং ১৫১ টি ব্যক্তিগত পূজামন্ডপ। বড়লেখা উপজেলায় ১৫৩টি, জুড়ী উপজেলায় ৭১টি, কুলাউড়া উপজেলায় ২২২টি, রাজনগর উপজেলায় ১৩৮টি, কমলগঞ্জ উপজেলায় ১৬২টি, শ্রীমঙ্গল উপজেলায় ১৭৩টি এবং মৌলভীবাজার সদর উপজেলায় ১১৭টি মন্ডপে দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
পূজাকে কেন্দ্র করে যে কোনো অপ্রতিকর ঘটনা এড়াতে বিসর্জন পর্যন্ত প্রতিটি মন্দিরে মাট ৮২ টি বিটে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশ কর্মকর্তা ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ফোর্স মোতায়েন ছিল। জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালাম, পুলিশ সুপার মো: মনজুর রহমান পিপিএম (বার), পৌরসভার মেয়র মো: ফজলুর রহমানসহ জেলা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উর্ধ্বতন-কর্তৃপক্ষ দূর্গাপূজার সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাদি পরিদর্শন করেন।
পূজামন্ডপের নিরাপত্তা রক্ষায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি র্যাবও টহলে ছিলো।