ডায়ালসিলেট ডেস্ক ::  মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর বাজার থেকে অপহরন হওয়া ওলিউর রহমান (২২) এর সন্ধান পাওয়া যায়নি আজ পনের দিন। সন্তানকে ফিরে পেতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন মা, বাবাসহ স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) বেলা ১২ টায় বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি কমলগঞ্জ ইউনিটের শমশেরনগরস্থ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুরের লালারচক গ্রামের বাসিন্দা আরজান আলীসহ আত্মীয় স্বাজন।
লিখিত বক্তব্যে ওলিউরের বাবা আরজান আলী জানান, গত ১০ অক্টোবর দিনে দুইজন অপরিচিত লোক গ্রামীণ ফোনের টাওয়ার বসানোর কথা বলে তার বাড়িতে যায়। তারপর তারা ওলিউর রহমান এর সাথে কথা বলে এবং ঘরের ঢালাইর উপরে টাওয়ার বসানোর বিষয়ে আলোচনা করে। ফেরার সময় তারা জানায় ইঞ্জিনিয়ারের সাথে কথা বলে পরে যোগাযোগ করবে। পরবর্তীতে গত ১৪ অক্টোবর শনিবার দুপুরে অপরিচিত ওই লোকেরা তার বাড়িতে গিয়ে ওলিউর রহমানকে খোঁজে।
পরে তার ভাতিজা হাবিবুর রহমানের সাথে সাক্ষাৎ করে ফিরে যায়। এসময় ওলিউর রহমানকে খোঁজতে চাইলে শমশেরনগর বাজারে আছে বলা হয়। ওইদিন বিকাল ৩ ঘটিকায় শমশেরনগর বাজারে ওলিউর রহমানের (০১৭৪৩-৮৮০৩১৫) মোবাইলে ফোন দিয়ে এনে তাকে পীরেরবাজার সড়কে নিয়ে কয়েকজন মিলে মারধোর করে প্রাইভেট গাড়িতে করে তুলে নিয়ে যায়। প্রথমে নিখোঁজ জেনে তারা কমলগঞ্জ থানায় জিডি করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীর মাধ্যমে তারা জানতে পারেন ওলিউরকে গাড়িতে তোলার সময় শারীরিকভাবে টর্চার করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা তাকে উদ্ধার করতে কাছে গেলে অপহরনকারীরা র‌্যাব পরিচয় দিয়ে পিস্তল তাক করে দ্রুত ওলিউরকে সাদা একটি প্রাইভেট গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। এঘটনার পর তারা থানা পুলিশ, র‌্যাব, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার অফিসে গিয়ে খোঁজাখুজির চেষ্টা করেও কোন সন্ধান পাননি।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বোন রুহিনা বেগম, মামা হাবিবুর রহমান হাসিব, সুলতান আলী, মামা ও শরীফপুর ইউপি সদস্য আজিজুল হক দুরুদ, শরীফপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও অপহৃত ওলিউরের চাচা মো. খলিলুর রহমানসহ অন্যান্যরা।শরীফপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. খলিলুর রহমান বলেন, ওলিউর রহমান যে-ই হোক, সে বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসাবে তাকে দ্রুত উদ্ধার করে মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট জোর দাবি জানান।
এ ব্যাপারে জিডির তদন্তকারী কর্মকর্তা শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই কাশী শর্ম্মা বলেন, তদন্ত কার্যক্রম চলছে। নিখোঁজ ব্যক্তির মোবাইল বন্ধ থাকায় কোন সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। তাকে উদ্ধারে চেষ্টা অব্যাহত রাখছি।