মসজিদ কমিটি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা

প্রকাশিত: ১১:০৫ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৭, ২০২৩

মসজিদ কমিটি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা

ডায়ালসিলেট ডেস্ক :  মৌলভীবাজারের রাজনগরে একটি মসজিদ নিয়ে দেড় দশক ধরে চলছে মামলা। মামলা চলাকালীন সময়ে ওয়াকফ বোর্ড থেকে ইউএনওকে সভাপতি করে মসজিদের একটি কমিটি করা হলেও দীর্ঘ দিন থেকে কোন কার্যক্রমে নেই এ কমিটি। এদিকে কমিটি ও গাছগাছলি কাটা এবং আইন শৃস্খলার অবনতি নিয়ে জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন উপজেলার কদমহাটা এলাকায় আবদুর রউফ ওযাকফ এস্টেটের মুতাওয়ল্লী মো. শাহআলম চৌধুরী। এছাড়াও তার ভাই শাহজাহান চৌধুরী এনিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সুষ্টু ভাবে মসজিদ পরিচালিত না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয়রা। লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, রাজনগর উপজেলার মনসুরনগর ইউনিয়নের পশ্চিম কদমহাটা এলাকার আবদুর রউফ চৌধুরী ওয়াকফ এস্টেটের (ইসি ১২০৯০) একটি মসজিদ রয়েছে। মসজিদের কমিটি নিয়ে ২০০৮ সালে আদালতে মামলা হয়। এনিয়ে বিভিন্ন সময় মুতাওয়াল্লি পক্ষ ও মামলার বাদী কর্তৃক ঝগড়া লেগেই রয়েছে। এদিকে ২০১৮ সালে মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ ওয়াক্ফ প্রশাসকের কার্যালয়ের ২২ মে তারিখের ৩/৪৮৭ নং স্বারকের প্রেক্ষিতে রাজনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে সভাপতি করে একই বছরের ডিসেম্বরে ৬ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি করে দেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক তোফায়েল ইসলাম। ওই কমিটিতে সহকারী কমিশনার (ভূমি), অফিসার্স ইনচার্জ, স্থানীয় চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তাকে সদস্য করা হয়। ওই কমিটি দায়িত্ব নিয়ে একটি দানবক্স নির্মাণ করলে কিছু সময়ের মধ্যেই একটি চক্র এটি ভেঙ্গে ফেলে। এরপর থেকে মসজিদের ওই কমিটি আর কোন কার্যক্রমে অংশ নেয়নি। এনিয়ে ওয়াকফ স্টেটের মুতাওয়াল্লী কমিটির সদস্যদের বরাবর দুই বার উকিল নোটিশও পাঠান। কিন্তু কমিটি গঠনের পর ৫ বছর চলে গেলেও ওই কমিটি কোন কার্যক্রম চালায়নি। এতে মসজিদের অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওয়াকফ স্টেটের মুতাওয়াল্লী শাহ আলম চৌধুরীর ভাই শাহজাহান চৌধুরী রাজনগর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন অবৈধভাবে করা মসজিদের কমিটির লোকজন দেশিয় অস্ত্র নিয়ে তার বাড়ির সামনে মহড়া দেয় এবং পুকুরপাড়ের গাছগাছালি কেটে ফেলে। নিরাপত্তা চেয়ে তিনি ইউএনওকে ফোন করেন। বিষয়টি নিয়ে ওয়াকফ স্টেটের মুতাওয়াল্লী মো. শাহআলম চৌধুরী জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

0Shares