ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধ : লন্ডনে ইসলামবিদ্বেষী অপরাধ বেড়েছে দ্বিগুণ

প্রকাশিত: ২:৫১ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ২৯, ২০২৩

ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধ : লন্ডনে ইসলামবিদ্বেষী অপরাধ বেড়েছে দ্বিগুণ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :: ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধের সময় লন্ডনে ‘হেট ক্রাইম’ বা ঘৃণাসূচক অপরাধ বেড়েছে ব্যাপকভাবে। ব্রিটিশ রাজধানীতে চলতি মাসে এ পর্যন্ত ইসলামবিদ্বেষী অপরাধের ঘটনা ঘটেছে ১৭৪টি, যেখানে গত বছর একই সময়ে এর সংখ্যা ছিল মাত্র ৬৫টি।

 

মধ্যপ্রাচ্যে সাম্প্রতিক সংঘাতের মধ্যে লন্ডনে ইহুদিবিদ্বেষী অপরাধও বেড়েছে। চলতি মাসে এ পর্যন্ত এ ধরনের ৪০৮টি ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে। গত বছর একই সময়ে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছিল ২৮টি।

 

মেট্রোপলিটন পুলিশ বলেছে, ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধ সম্পর্কিত ঘটনায় এ পর্যন্ত ৭৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সন্ত্রাসবিরোধী আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে আরও ১০টি ঘটনার তদন্ত চলছে।

 

শনিবার লন্ডনে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশাল এক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ওই এলাকায় নিরাপত্তা অভিযানের নেতৃত্ব দেবেন কমান্ডার কাইল গর্ডন। তিনি বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তবে বিক্ষোভে কেউ জিহাদের আহ্বান জানালে পুলিশ কী করবে, সেই প্রশ্নে কিছু বলতে রাজি হননি তিনি। এই ইস্যুতে চলতি সপ্তাহেই সরকারের তোপের মুখে পড়েছিল লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশ।

 

গণমাধ্যমে প্রচারিত একটি ভিডিওতে দেখা যায়, গত ২১ মার্চের বিশাল সমাবেশের পাশে ছোট একটি জটলার মধ্যে এক ব্যক্তি জিহাদ সম্পর্কে বক্তব্য দিচ্ছেন। এ ঘটনার পর ওই ব্যক্তিকে কেন গ্রেফতার করা হয়নি, তা নিয়ে ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রেভারম্যানের তোপের মুখে পড়েন পুলিশ কমিশনার স্যার মার্ক রাউলি।

 

এছাড়া, অনলাইন পোস্টে বর্ণবাদী বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগে আরও ১০টি ঘটনার তদন্ত করছে লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশ। গত ১৪ অক্টোবর ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভে অংশ নেওয়া তিন নারীর বিরুদ্ধেও তথ্য সংগ্রহ করছে তারা।

 

তদন্তকারীদের দাবি, বিক্ষোভে ওই তিন নারী প্যারাগ্লাইডারের ছবি দেখিয়েছিলেন। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলার সময় এ ধরনের প্যারাগ্লাইডার ব্যবহার করেছিলেন হামাস যোদ্ধারা।

 

যুক্তরাজ্যে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসকে ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠী’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। দেশটিতে নিষিদ্ধ ঘোষিত কোনো সংগঠনের পক্ষে সমর্থন দেখালে ১৪ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।

 

-সূত্র: বিবিসি

0Shares

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ