প্রকাশিত: ৮:৩৬ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১২, ২০২৩
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :: লন্ডনে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ করেছে তিন লাখের বেশি মানুষ। এ সময় তাদের ঠেকাতে পাল্টা বিক্ষোভ শুরু করে কট্টর ডানপন্থিরা। এতে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হলে পুলিশ ১২০ জনের বেশি পাল্টা বিক্ষোভকারীকে আটক করে।
ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ শুরু হয় কেন্দ্রীয় লন্ডনে। এরপর পাল্টা বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। পরে চালানো হয় আটক অভিযান।
এদিকে সেনোটাফ যুদ্ধ স্মৃতিসৌধে সহিংসতার নিন্দা করেছেন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। তাছাড়া হামাসের পক্ষে যারা স্লোগান দিয়েছে তাদেরও সমালোচনা করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।
ফিলিস্তিনের গাজায় এক মাসের বেশি সময় ধরে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। এই সময়ে হামলার প্রতিবাদ ও যুদ্ধবিরতির দাবিতে একাধিকবার লন্ডনে বিক্ষোভ হয়েছে।
তবে শনিবার হওয়া বিক্ষোভ ছিল সবচেয়ে বড়। এ বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে লন্ডনে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছিল। বিশেষ করে ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রেভারম্যান বিক্ষোভকে ‘বিদ্বেষমূলক মিছিল’ বলার পর উত্তেজনা বাড়ে।
শনিবার এই বিক্ষোভ যাতে না হয় সেই পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ করেছিল সরকার। তবে লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশ সেই অনুরোধ নাকচ করে বলেছিল, বিক্ষোভে বড় ধরনের সহিংসতা হওয়ার কোনো ইঙ্গিত বা আশঙ্কা নেই। তাই সরকারি অনুরোধে এ বিক্ষোভ বন্ধ করার সুযোগ নেই।
পুলিশ জানিয়েছে, দুই পক্ষের বিক্ষোভকারীর মধ্যে যাতে সংঘর্ষের ঘটনা না ঘটে এ জন্যই তাদের আটক করা হয়।
এদিকে জাতিসংঘ জানিয়েছে, গাজায় অবস্থিত তাদের একটি কার্যালয়ে রাতভর গোলাবর্ষণ করা হয়েছে। ওই কার্যালয়ে আশ্রয় নেওয়া বেশ কয়েকজন বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু এবং আহত হওয়ার খবর পেয়েছেন তারা।
জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) পরিচালক আচিম স্টেইনার সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে বলেন, এ ধরনের ঘটনা সবদিক থেকেই ভুল। তবে কারা ওই হামলা চালিয়েছে এ বিষয়ে পরিষ্কার কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি। যদিও গাজায় গত ৭ অক্টোবরের পর থেকেই অব্যাহত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী।
-সূত্র: রয়টার্স
Address: 4th floor, Kaniz Plaza, Zindabazar, Sylhet 3100
isleworth, London. UK Mobile : +447438548379
Editor & Publisher : - Sohel Ahmed
Design and developed by AshrafTech