ঘুর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে আমন ধান ও শীতকালীন সবজীর ব্যাপক ক্ষতি

প্রকাশিত: ৮:৫২ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৮, ২০২৩

ঘুর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে আমন ধান ও শীতকালীন সবজীর ব্যাপক ক্ষতি

ডায়াল সিলেট ডেস্ক :: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় ঘুর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে দুদিন বৃষ্টি ও বাতাসে আমন ধান ও শীতকালীন সবজীর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পাকা আমন ধানের মাঠ মাটিতে শুয়ে পড়েছে। বৃষ্টিতে অনেক কৃষক জমি থেকে পাকা আমন ধান কাটতে না পারায় লোকসানের শঙ্কায় রয়েছেন।

এছাড়া রোপনকৃত শীতকালীন সবজী নষ্ট হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। ঘুর্ণিঝড়ের প্রভাবে বিভিন্ন স্থানে গাছপালা ভেঙ্গে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা লন্ডভন্ড হয়ে শুক্রবার বিকাল থেকে ৮/১০ ঘন্টা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছিল।

সরেজমিনে উপজেলার শমশেরনগর, পতনঊষার, রহিমপুর ও মুন্সীবাজার, হাজীপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন আমন ধানের খেত ও রবিশস্য ফসল দেখা যায়, বাতাস ও বৃষ্টির কারণে পাকা আমন ধান এলোমেলো ভাবে মাটিতে শুয়ে পড়েছে। যেগুলো শুয়ে পড়েছে এগুলো নিচে ওপরে পানি জমে আছে। পাকা ধান পানিতে থাকায় নষ্ট হওয়ার শঙ্কা বেশি রয়েছে। সদ্য রোপনকৃত শীতকালীন সবজীর ছোট ছোট গাছ মাটিতে শুয়ে পড়ে আছে। এছাড়া ঘুর্ণিঝড়ের প্রভাবে বিভিন্ন স্থানে গাছপালা ভেঙ্গে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা লন্ডভন্ড হয়ে পড়লে ৮/১০ ঘন্টা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিল। বিদ্যুৎ কর্মীরা বৈদ্যুতিক লাইনের উপর পড়া গাছ সরিয়ে অনেক স্থানে সকালে বিদ্যুৎ সংযোগ চালু হয়।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায়, চলতি বছরে ১৭ হাজার ৩০৮ হেক্টর জমিতে আমন চাষ করা হয়েছে। কৃষকেরা গত একসপ্তাহ ধরে ধান ঘরে তুলেছেন। এ ছাড়াও ১ হাজার ৫৯৫ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি ও ৫৫৫ হেক্টর জমিতে আলু, ২৭৯ হেক্টর টমেটো ও ৪৬৬ হেক্টর জমিতে শরিষা চাষ করা হয়েছে। অতিরিক্ত বৃষ্টিতে পাকা ধান ও সবজির কিছুটা ক্ষতি হয়েছে।

স্থানীয় কৃষকেরা জানান, ঘুর্ণিঝড় মিধিলি দুই দিনের বৃষ্টি ও বাতাসে আমন ধান মাটিতে ফেলে দিয়েছে। আমন ধান কেটে ঘরে তোলার সময় বৃষ্টিতে সর্বনাশ করে দিয়েছে। শুধু আমন ধান নয় রবি ফসল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সদ্য রোপনকৃত শীতকালীন সবজীর চারা এখন নষ্ট হয়ে যাবে।
পতনঊষার ইউনিয়নের কৃষক রাহিন মিয়া বলেন, ২ একর জমির মধ্যে আমন ধান চাষ করছি। খেতে গিয়ে দেখি দুই দিনের বৃষ্টিতে সব ধান মাটিতে শুয়ে পড়েছে। এমন অবস্থায় ক্ষতির আশঙ্কায় রয়েছেন।

রহিমপুর ইউনিয়নের কৃষক উত্তম কুমার পাল বলেন, প্রায় দুই একর জমির আমন ধান ও প্রায় এক একর জমির রবিশস্য ফসল একেবারে নষ্ট হয়ে গেছে। টানা বৃষ্টি ও বাতাসে অনেক কৃষকের ক্ষতি হয়েছে।
কমলগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্ত জয়ন্ত কুমার রায় বলেন, মিধিলির প্রভাবে পাকা আমন ধান ও শীতকালীন সবজীর এমন ক্ষতি হয়নি বলে কোন খবর পাইনি। পানি দ্রুত সরে গেলে পাকা ধান কাটতে পারবে বলে তিনি জানান।

 

 

0Shares

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ