মশরিয়া এমদাদিয়া আলিম মাদ্রাসায় পছন্দের ব্যক্তিকে নিয়োগের পায়তারা করছে একটি চক্র

প্রকাশিত: ১:৫৮ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১, ২০২৩

মশরিয়া এমদাদিয়া আলিম মাদ্রাসায় পছন্দের ব্যক্তিকে নিয়োগের পায়তারা করছে একটি চক্র

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি ॥ মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার মশরিয়া এমদাদিয়া আলিম মাদ্রাসায় সহ-সুপার পদে পছন্দের ব্যক্তিকে নিয়োগের পায়তারা করছে একটি চক্র। এমন সংবাদে মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটি, সংশ্লিষ্ট পদে আবেদনকারী, সাবেক শিক্ষার্থী, অভিভাবক, সুধী ও শুভাকাঙ্খীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। নিয়মতান্ত্রিকভাবে নিরেপক্ষ নিয়োগ কার্যক্রম না হলে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে।
বিশ্বস্থ সূত্রে জানা যায়, রাজনগর উপজেলার মশরিয়া এমদাদিয়া আলিম মাদ্রাসায় সহ-সুপার পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিলে ১১ জন প্রার্থী আবেদন করেন।
আগামী ১ ডিসেম্বর মাদ্রাসায় তাদের নিয়োগ পরীক্ষা হওয়ার কথা রয়েছে। একটি চক্র তাদের পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ দেয়ার জন্য মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরে তদবির করে সিলেট আলিয়া মাদ্রাসার সহযোগী অধ্যাপক আব্দুল মছব্বিরকে ডিজির প্রতিনিধি নিয়োগ করান। তিনি একটি রাজনীতিক সংগঠনের জেলা পর্যায়ের নেতা। ডিজির প্রতিনিধি হিসেবে আব্দুল মছব্বিরের নিয়োগে আবেদনকারীদের মধ্যে অসন্তুষ বিরাজ করছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ইতিপূর্বেও বিভিন্ন নিয়োগে আব্দুল মছব্বির পক্ষপাতিত্ব করছেন। বিতর্ক রয়েছে তার সম্পর্কে। মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী নিয়োগ পরীক্ষায় মহাপরিচালকের প্রতনিধি পাঠানো হয়। পদাধিকার বলে নিয়োগ বোডের প্রধান মহাপরিচালকের ওই প্রতিনিধি।
মাদ্রাসার সুপার মো: আব্দুল লতিফ জানান আমাদের নিয়ম অনুসারে অধিদপ্তরে আবেদন করলে সিলেট আলিয়া মাদ্রাসার সহযোগী অধ্যাপক আব্দুল মছব্বিরকে ডিজির প্রতিনিধি নিয়োগ করা হয়। আমি উনার কাছ থেকে তারিখ এনেছি। উনাকে নিয়োগের বিষয়ে আমার কোনো স¤পৃক্ততা নেই।
সহ-সুপার পদে আবেদনকারী কুলাউড়া উপজেলার মখলেছুর রহমান বলেন, পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করব কিনা এখনও নিশ্চিত নয়। কারণ লবিং গ্রুপিং করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।
মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুল কাদির বলেন, আমার জীবনেও পক্ষ পাতিত্ব করিনি এবং এই নিয়োগেও করব না। আমরা চাই স্বচ্ছ এবং সঠিকভাবে নিয়োগ দেয়ার জন্য। যাতে করে মাদ্রাসার উন্নয়ন হয়। চুরে চুরি করলে বিভিন্নভাবে করতে পারে। এভাবে হলে আমরা নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করাবো। ডিজির প্রতিনিধি হিসেবে তাঁকে মানবো না।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো: ফজলুর রহমান জানান, নিয়োগ স্বচ্ছ হওয়ার জন্য আমি শতভাগ চেষ্টা করব।
সিলেট আলিয়া মাদ্রাসার সহযোগী অধ্যাপক আব্দুল মছব্বির বলেন, এধরেনর কিছু না। আপনি প্রতিষ্ঠানে গিয়ে যোগাযোগ করুন। পছন্দের ব্যক্তির কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়েছেন এমন প্রশ্ন করলে তিনি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

0Shares

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ