বাইক্কা বিলের বড়গাঙ্গিনা সম্পদ ব্যবস্থাপনা সংগঠনের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত: ৮:৪৫ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২, ২০২৩

বাইক্কা বিলের বড়গাঙ্গিনা সম্পদ ব্যবস্থাপনা সংগঠনের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

ডায়াল সিলেট ডেস্ক ::  শ্রীমঙ্গল বাইক্কা বিলের বড়গাঙ্গিনা সম্পদ ব্যবস্থাপনা সংগঠন( আরএমও) সরকার ঘোষিত স্থায়ী মৎস্য অভয়াশ্রম বাইক্কা বিল এর ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণের দায়েত্বে নিয়োজিত স্বেচ্ছা সেবী সংগঠনের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। বুধবার(২২ নভেম্বর) বড়গাঙ্গিনা সম্পদ ব্যবস্থাপনা সংগঠন( আরএমও)  হাজিপুর,বরুনা, কালাপুর  সন্ধ্যায় সংগঠনের সভাপতি পিয়ার আলীর সভাপতিত্বে  সংবাদ সম্মেলনে জানান, এখানে একটি সংঘবদ্ধ মাছ চোর চক্র স্থায়ী মৎস্য অভয়াশ্রম বাইক্কা বিল থেকে মাছ চুরি করতে গিয়ে বড়গাঙ্গিনা সম্পদ ব্যবস্থাপনা সংগঠনের স্বেচ্ছা সেবীর বাঁধার সম্মুখিন হয়। এ কারনে প্রায় সময় মাছ  চোরদের সাথে স্বেচ্ছাসেবীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আহত হয়েছেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের অনেক সদস্য ও পাহাড়াদার। এ সমস্ত ঘটনায় থানায় মামলাও হয়। মামলার বেশী ভাগ ফাইল চাপা পড়ে গেছে। এই মাছ চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য জাকির হোসেন অভয়াশ্রম বাইক্কা বিল এর মাছ চুরির আসামী সহ কিছু মাছ চোর মিডিয়ায় বিভিন্ন ভাবে অপপ্রচার করছে এই বিলে যারা রক্ষক তারাই ভক্ষক। কমিটির পক্ষের লোকজন মাছ চোরদেরে সহযোগীতা করছেন। ৬ বছরে ১০ কোটি টাকার মাছ চুরি হয়েছে বলে প্রচার করা হয়েছে। এই অপপ্রচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত সাধারন সম্পাদক মো: বজলু মিয়া, সাবেক সভাপতি আব্দুস সোবান চৌধুরী, সাবেক সাধারন সম্পাদক মিনত আলী,, শ্রীমঙ্গল উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা, মো: ফারাজুল কবির, কোষাধক্ষ মো: সামছুদ্দিন, সদস্য মনির মিয়া, মসজিদের ইমাম মো: তৌইয়বুল ইসলাম বলেন, বড়গাঙ্গিনা সম্পদ ব্যবস্থাপনা সংগঠন(আরএমও) প্রতিষ্ট্রালগ্ন থেকেই হাইল হাওরের মৎস্য, প্রাকৃতিক সম্পদ, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন উন্নয়নমুলক কাজ করছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটি। বাক্কাবিলের উভয় পাড়সহ পার্শ্ববর্তী খাস পতিত জমিতে নানা প্রজাতির জলজ উদ্ভিদ রোপন করে বন্যপ্রাণীর নিরাপদ আশ্রয়স্থল ও পরিযায়ী পাখির বিচরণ ক্ষেত্র তৈরী হয়েছে। অভয়াশ্রম প্রতিষ্ট্রার ফলে হারিয়ে যাওয়া বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ফিরে এসেছে। যে চোর চক্র প্রচার করছে এ পর্যন্ত ১০ কোটি টাকার মাছ চুরি হয়েছে, তা হলে যারা মাছ চুরিতে ধরা পড়েছে তারা এই ক্ষতি পুরন করে দিতে হবে। আন্তর্জাতিক ভাবে পরিচিত বাইক্কা বিল অভয়াশ্রমটি নিয়ে চোর মহল চক্রান্তে লিপ্ত। বিগত সময়ে বিল পরিদর্শন করতে গিয়ে মাছ চোরদের হাতে মৎস্য কর্মকর্তা লাঞ্চিত হন। পরবর্তীতে এব্যাপারে মামলা হলে চোরচক্র মৌলভীবাজর জেলা মৎস্য কর্মকর্তার বাসায় বসে আপোষ করে নেয়। প্রশাসনিক সর্বাত্নক সহযোগীতা পেলে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ অভয়াশ্রমের মাধ্যমে বংশ বিস্তারের মাধ্যমে সমগ্র হাওরে ছড়িয়ে পড়ে মৎস্যজিবীদের জীবন মান উন্নয়ন,  প্রাকৃতিক প্ররিবেশ ফিরিয়ে আনা ও পশু পাখির নিরাপদ আশ্রয়স্থল, জলবায়ু পরিবর্তন রোধ এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা সহ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে গুরুত্ব পূর্ণ ভুমিকা রাখবে এই সংগঠন।

0Shares

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ