রাজকান্দি বন রেঞ্জের কে সেই মালী ফরিদ

প্রকাশিত: ১২:৪৩ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৮, ২০২৩

রাজকান্দি বন রেঞ্জের কে সেই মালী ফরিদ

মৌলভীবাজার  প্রতিনিধি ॥ মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার রাজকান্দি বন রেঞ্জের বাগান মালি ফরিদের দাপটে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে ব্যবসায়ী ও সাধারণ নাগরিকরা। কমলগঞ্জ রাজকান্দি বন রেঞ্জে ২০১৪ সালে যোগদান করেন মালি পদে ফরিদ মিয়া দীর্ঘ দিন একই এলাকায় অবস্থান করছেন।
তিনি মালি পদে চাকুরী করলেও যেন রেঞ্জ অফিসে সকল ১০ -১২ বছর ধরে দায়িত্ব পালন করেন। এদিকে গত সপ্তাহে দুপুরে ট্রাক ও পিকআপ যোগে গাছ পাচার করতে দেখা যায়। এছাড়া যারা তাকে অর্থ দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন,রেঞ্জ অফিসের কর্তাদের নিয়ে তাদের মাল আটক করেন।
রেঞ্জ কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম ও তার অধিনস্ত কর্মচারী বাগান মালি ফরিদ মিয়ার সহযোগিতায় “অবৈধ অর্থের” বিনিময়ে প্রায় রাতেই অবৈধভাবে বন রেঞ্জের আওতাধীন বন বিট এলাকা থেকে চোরাকারবারিরা বাঁশ ও গাছ পাচার হচ্ছে। ফলে বনজ সম্পদ ধ্বংস হতে চলেছে।
স্থানীয় নাগরিকরা বাড়ীর নিত্য কাজের জন্য মুলিবাঁশ,জাইবাঁশ,ঠুকরী,ঝাঁকা আদমপুর ও ভানুগাছ বাজারের নিয়মিত বিক্রি করলে ও সেখানে মাসোহারা আনার কারনে কোন অভিযান না করলে ও নাগরিকরা ক্রয় করে বাড়ীতে আনার পথে পথিমধ্যে গতিরোধ করে মাল আটক ও মামলা দেয়ার ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায় করেন। সিলেট বন বিভাগের আওতাধীন রাজকান্দি বন রেঞ্জ কর্মকর্তার অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতায় সরকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত।
অভিযোগকারী নরুল ইসলাম বলেন দুই কান্দি বাঁশ আমি কিনিয়া আনিলাম। আমার ঘরের কাজের লাগি কিনিয়া আনিলাম।আনার পরে ফরিদে আটক করে কয়,” এটা গাছ তুমি কাটিয়া লইয়াইছ।” আটক করে আমার ২০০ টাকা নিয়া গেছে, বাঁশও নিছেগি।
কমলগঞ্জ উপজেলার রাজকান্দি বন রেঞ্জের বাগান মালি ফরিদ মিয়া জানান ফোনে তো এত কথা বলা যায় না,আমি বললাম তো আপনার ফোন নাম্বার টা সেইভ করে রাখমু। আমার স্যার আসলে আপনাদের ফোন দিমু। স্যার আসলে পরে সব বলব। আমার কথা হলো আমি মানুষ চিনতাম। একটু মানুষ রে আমার চিনা দরকার।
ব্যবসায়ীরা জানান সে গাড়ি প্রতি ৫০০ টাকা করে নেয়,নিয়া সে মাল সাপ্লাই করে।আর বিভিন্ন কম জাতের গাছ আছে ,সেই গাছগুলাও হে সাপ্লাই করে,তারে প্রত্যেক মানুষের টাকা দেওয়া লাগে। ইউনিয়ন এর কাগজ সে মানেনা। ইউনিয়ন এর কাগজ দেখাইলে কয় তারে টাকা দেওয়া লাগবো। বাড়ীর কাজের জন্য আদমপুর বাজার থেকে বাঁশ ও ঝাঁকা আনলে পথে আটকিয়ে অর্থ আদায় করে থাকেন।
সংবাদকর্মী সাব্বিরাল আঁই বলেন বৃক্ষ নিধন রোধে বন বিভাগের যথেষ্ট গাফিলতি রয়েছে।বন বিভাগের কিছু অসাধু কর্মচারীরাও যদি এই বৃক্ষ নিধন যারা করে তাদের সাথে জড়িত না থাকলে এত দ্রুত বৃক্ষ নিধন করা সম্ভব হতো না।
ফরেস্টার, রেঞ্জ কর্মকর্তা, রাজকান্দি রেঞ্জ মোঃ তৌহিদুল ইসলাম জানান ১০/১২ বছরে অনেক মানুষ আছে আরও বেশি দিন থাকে এটা আমি আদেশ করি নাই বা আমি আনি নাই , আমার তো বলার কিছু নাই। যদি এরকম হয়ে থাকে আর আমার কাছে অভিযোগ এলে আমরা ধরব,আর অভিযোগ না আসলে তো আমার কিছু করার নাই।মামলা দেওয়ার কে,ও মামলা দেওয়ার কেউ না, তাইলে ও মামলা দিবো কীভাবে।
বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ হুমায়ুন কবির জানান সকলকে তো চিনে উঠতে পারি নাই,নামে ধামে পদবীতে এখনো চিনে উঠতে পারি নাই। আমরা ব্যবস্থা নেব না? বসে আছি কেন?আমরা ব্যবস্থা নেব অবশ্যই নেব। আপনি যেহেতু বলছেন,অবশ্যই ব্যবস্থা নেব সে অপরাধের সাথে জড়িত থাকলে তাকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।

 

মনজু বিজয় চৌধুরী,
শ্রীমঙ্গল থেকে
’মৌবাইল নম্বর -০১৭৩১৭২০৮৯৬
তারিখ- ৮ ডিসেম্বর ২০২৩ইং
ই-মেল নিউজ ও ছবিসহ

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

0Shares

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ