প্রকাশিত: ৪:১৯ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ১২, ২০২৩
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :: যুক্তরাজ্য, কানাডার পর অভিবাসনপ্রত্যাশীদের এবার দুঃসংবাদ দিলো অস্ট্রেলিয়াও। নতুন অভিবাসীর সংখ্যা অর্ধেকে নামাতে চলেছে দেশটি। এর সঙ্গে, কঠোর হতে চলেছে ইংরেজি ভাষা দক্ষতার বাধ্যবাধকতাও। আগামী দুই বছরের মধ্যেই এসব সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে অস্ট্রেলীয় কর্তৃপক্ষ।
বিবিসির খবর অনুসারে, অস্ট্রেলিয়ায় এ বছর রেকর্ড সংখ্যক নতুন অভিবাসী প্রবেশ করেছে। ফলে চাপের মুখে পড়েছে দেশটির আবাসন ও অবকাঠামো খাত। কিন্তু দক্ষ কর্মীর ঘাটতি রয়েই গেছে।
অস্ট্রেলীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্লেয়ার ও’নিল জানিয়েছেন, ২০২৩ সালের জুন মাস পর্যন্ত এক বছরে রেকর্ড ৫ লাখ ১০ হাজার অভিবাসী অস্ট্রেলিয়ায় ঢুকেছেন। এর সংখ্যা ৫০ শতাংশ কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। মন্ত্রী জানিয়েছেন, ২০২৫ সালের জুন মাসের মধ্যে বার্ষিক অভিবাসী গ্রহণের সংখ্যা ২ লাখ ৫০ হাজারে নামিয়ে আনার লক্ষ্য নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে ১০ বছর মেয়াদী নতুন অভিবাসন পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন ক্লেয়ার ও’নিল। তিনি অভিযোগ করেছেন, আগের সরকারই অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসন ব্যবস্থাকে ‘হ য ব র ল’ অবস্থায় রেখে গিয়েছিল।
নতুন পরিকল্পনা অনুসারে, বিদেশি শিক্ষার্থী এবং স্বল্প দক্ষ কর্মী ভিসার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করা হবে। কঠোরতা বাড়বে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ন্যূনতম ইংরেজি ভাষা দক্ষতার ওপর।
দ্বিতীয় ভিসার জন্য যারা আবেদন করবেন, তাদেরও বাড়তি পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্যে পড়তে হবে। অধিক পড়াশোনা কীভাবে তাদের শিক্ষাগত আকাঙ্ক্ষা বা কর্মজীবনকে এগিয়ে নিয়ে যাবে, তা নিশ্চিত করতে হবে এ ধরনের শিক্ষার্থীদের।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, অস্ট্রেলিয়ায় বর্তমানে প্রায় সাড়ে ছয় লাখ বিদেশি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন। এদের অনেকেই দ্বিতীয় ভিসা নিয়ে রয়েছেন।
তবে ‘বিশেষজ্ঞ’ বা ‘প্রয়োজনীয় দক্ষতা’ থাকা অভিবাসীদের ভিসার পথ তুলনামূলক সহজ করা হচ্ছে। যেমন- প্রযুক্তিতে উচ্চ দক্ষ কর্মী বা পরিচর্যা কর্মীদের অস্ট্রেলিয়ায় স্থায়ী বসবাসের সুযোগ বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে নতুন পরিকল্পনায়।
Address: Kaniz Plaza, Zindabazar, Sylhet
United Kingdom, London Mobile :+447438548379
dialsylhetnews@gmail.com
Design and developed by AshrafTech