বাঘাইছড়ি ও সাজেকের পাঁচটি ভোটকেন্দ্রে একটিও ভোট পড়েনি

প্রকাশিত: ১০:১০ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৭, ২০২৪

বাঘাইছড়ি ও সাজেকের পাঁচটি ভোটকেন্দ্রে একটিও ভোট পড়েনি

একটিও ভোট পড়েনি খাগড়াছড়ির ১৯টি কেন্দ্রে

 

ডায়াল সিলেট ডেস্ক :: রাঙামাটি আসনের বাঘাইছড়ি উপজেলার পাঁচটি ভোট কেন্দ্রে একটিও ভোট পড়েনি। কেন্দ্র পাঁচটি হচ্ছে বাঘাইছড়ির বঙ্গলতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র ও সাজেকের ভাইবোনছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তুইসুই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সিয়ালদাহ লুই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নিউলংকর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র।

 

রবিবার বিকেল পাঁচটার দিকে পাঁচ কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে জানা যায়।

 

রাঙামাটির বাঘাইছড়ির সাজেক ইউনিয়নের ভাইবোনছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমাদের কেন্দ্রে কোনো ভোটারই আসেননি। একটিও ভোট পড়েনি এখানে। এছাড়া সাজেক ও বঙ্গলতলী ইউনিয়নের ১০টি কেন্দ্রে কোনো প্রার্থীর পোলিং এজেন্টও ছিলেন না।

 

এ বিষয়ে বাঘাইছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক গিয়াসউদ্দিন মামুন বলেন, পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফ প্রসীত দলের ভোট বর্জন ও হুমকিতে ভিত হয়ে কেন্দ্রে কেও এজেন্ট হতে রাজি হয়নি। সাজেকের দুর্গম পাঁচটি কেন্দ্রের ব্যালট পেপার ও মালামাল হেলিকপ্টার যোগে পাঠানো হয়েছে।

জানা যায়, কংলাক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নৌকা ৩ ভোট, বেটলিং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৬ ভোট, মাচালং মিলনপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩ ভোট পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

 

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা শিরিন আক্তার সাক্ষরিত পত্রে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। এরমধ্যে ২৬ কেন্দ্রের মালামাল ও কর্মকর্তারা উপজেলা সদরে ফিরলেও সাজেকের দুর্গম হেলিসর্টি ৬ কেন্দ্র এবং ঝুঁকিপূর্ণ ৮টি কেন্দ্রের মালামাল ও কর্মকর্তাদের ৮ জানুয়ারি সকালে পৌছার কথা জানান।

 

একটিও ভোট পড়েনি খাগড়াছড়ির ১৯টি কেন্দ্রে : খাগড়াছড়ি জেলার একমাত্র আসনে ১৯৬টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৯টি কেন্দ্রে একটি ভোটও পড়েনি। এ ছাড়া ছয়টি কেন্দ্রে সব মিলিয়ে মাত্র ১৯টি ভোট পড়েছে। পানছড়ি উপজেলার ২৪ কেন্দ্রের ১১টিতে শূন্য ভোট এবং দক্ষিণ লতিবান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একটি ভোট পড়ে। পানছড়ির সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা অঞ্জন দাশ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

 

দীঘিনালা উপজেলায় তিনটি কেন্দ্রে শূন্য গেছে। আরো পাঁচটি কেন্দ্রে সব মিলিয়ে ১৮ জন ভোটার ভোট দিয়েছেন। লক্ষ্মীছড়িতে ১২ কেন্দ্রের পাঁচটিতেই ভোট পড়েনি। এর মধ্যে বর্মাছড়ি ইউনিয়নের চারটি ও সদর ইউনিয়নের একটি।

 

নিজ নিজ উপজেলায় নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণা কেন্দ্রে এ তথ্য জানানো হয়। তবে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান এখনো এ বিষয়ে কথা বলেননি। এসব কেন্দ্রে মূলত প্রসিত খীসার নেতৃত্বাধীন আঞ্চলিক সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) প্রভাবিত এলাকা। দলটির পক্ষ থেকে নির্বাচনে বাধা ও বিধি-নিষেধের কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে বলে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।

 

ইউপিডিএফের সংগঠক অংগ্য মারমা সরকারি দলের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, সরকারের নীলনকশার নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে ভোটাররা। এটা জনগণের মৌন প্রতিবাদ।

 

0Shares

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ