‘ডামি সংসদ’ বাতিল করতে হবে : আ স ম রব

প্রকাশিত: ১:৪২ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ১৪, ২০২৪

‘ডামি সংসদ’ বাতিল করতে হবে : আ স ম রব

ডায়াল সিলেট ডেস্ক :: জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, ৯০ শতাংশের বেশি মানুষ নির্বাচন বর্জন করায় ‘ডামি নির্বাচনে’ ‘ডামি সংসদ’ এবং ‘ডামি সরকার’ গঠিত হয়েছে। সুতরাং জনগণের সম্মতি ও সমর্থনের ভিত্তিতে নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রয়োজনে অবিলম্বে ডামি সংসদ বাতিল করতে হবে এবং এর সঙ্গে ডামি সরকারকেও পদত্যাগ করতে হবে।

 

শনিবার জেএসডির স্থায়ী কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে আ স ম আবদুর রব এসব কথা বলেন। রাজধানীর উত্তরায় তাঁর বাসভবনে আয়োজিত স্থায়ী কমিটির সভায় আরো বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, স্থায়ী কমিটির সদস্য তানিয়া রব, অ্যাডভোকেট ছানোয়ার হোসেন তালুকদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ সিরাজ মিয়া ও অ্যাডভোকেট কে এম জাবির।

 

রব বলেন, অসাংবিধানিক চর্চার মাধ্যমে সংবিধানকে হাতের খেলনা করে দীর্ঘস্থায়ী ক্ষমতা অব্যাহত রাখতে গিয়ে রাষ্ট্র আইনগত ও নৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে পড়েছে। নির্বাচনী ব্যবস্থাকে সরকার ধ্বংস করে ফেলেছে। নির্বাচনবিহীন সংস্কৃতির মাধ্যমে রাষ্ট্র থেকে জনগণকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। গণতান্ত্রিক, নৈতিক ও মানবিক বাংলাদেশ বিনির্মাণ না করায়, ক্ষমতাসীনদের লোভ-লালসায় সমাজটা হাতছাড়া হয়ে গেছে।

 

রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানগুলোকে দলতান্ত্রিক করতে গিয়ে ভঙ্গুর করে দেওয়া হয়েছে, এই ভঙ্গুর প্রতিষ্ঠান দিয়ে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকটে বিপর্যস্ত দেশকে পুনরুদ্ধার করা আর সম্ভব হবে না।

 

সভায় এক রাজনৈতিক প্রস্তাব গৃহীত হয়। প্রস্তাবে বলা হয়, একতরফা প্রহসনের নির্বাচনেও ভোটারদের চাপ প্রয়োগ ও ফলাফলে কারচুপির মতো ব্যাপক অনিয়মের চিত্র দেখা যায়। নির্বাচন সামনে রেখে বেপরোয়াভাবে বিরোধী দলের কণ্ঠরোধ ও দমনে এবং সরকারের দুঃশাসনকে চ্যালেঞ্জ করতে পারে এমন ব্যাপক গণসমর্থনভিত্তিক দল ও জোটকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সুযোগ থেকে দূরে রাখার সরকারের অপকৌশল আইনের শাসন এবং গণতন্ত্রের মূলনীতিকে দারুণভাবে ক্ষুণ্ণ করেছে, যা খুবই উদ্বেগজনক।

এতে আরো বলা হয়, বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ভয় দেখানো, মিথ্যা অভিযোগে পরোয়ানা ছাড়া বহু মানুষকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো, তথাকথিত বিচারের নামে দণ্ডিত করা এবং বিরোধী রাজনীতিক ও বিরোধী দলগুলোর সমর্থকদের ওপর পরিচালিত সহিংসতা ভয়ংকর রূপ ধারণ করেছে। এই আত্মঘাতী নির্বাচন রাষ্ট্রকে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে চরম বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিয়েছে। দেশের আর্থিক অবস্থাসহ স্থিতিশীলতা চরম হুমকির মুখে পড়েছে। এই অবস্থায় এমন একটি নির্বাচন প্রক্রিয়া প্রবর্তন করতে হবে, যা জনগণের অভিপ্রায়ের ভিত্তিতে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে সমাজের সব অংশের মানুষের সম্মিলিত আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটবে, যে প্রক্রিয়ায় সব মানুষের শ্রদ্ধা ও আস্থা স্থাপিত হবে। একটি অংশগ্রহণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক স্থিতিশীল রাজনৈতিক শাসনব্যবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একটি সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন রাষ্ট্রের জন্য অনিবার্য হয়ে পড়েছে।

 

সরকারের পদত্যাগ এবং প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত দ্বাদশ সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বা জাতীয় সরকার গঠন করে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্পন্ন করার রাজনৈতিক কর্তব্য পালনে সবাইকে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

 

0Shares

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ