উদ্বোধনের দিনেই বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে উপচেপড়া ভিড়

প্রকাশিত: ২:২৫ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ১৯, ২০২৪

উদ্বোধনের দিনেই বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে উপচেপড়া ভিড়

কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা

 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :: ঐতিহ্যবাহী কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলায় উদ্ধোধন হয়েছে বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি)। সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কে এদিন সন্ধ্যায় ৪৭তম কলকাতার আন্তর্জাতিক বইমেলার উদ্বোধন করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী।

 

মূল মেলার উদ্বোধনের পর ফিতা কেটে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নের দ্বার উন্মোচন করেন বাংলাদেশের সংস্কৃতিকবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমেদ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সাহিত্য একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নুরুল হুদা, কলকাতায় বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস, বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সহ-সভাপতি মাজহারুল ইসলাম, কবি ও সাহিত্যিক সুবোধ সরকারসহ আরও অনেকে। উদ্বোধনের পরেই বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে উপচেপড়া ভিড় দেখা যায়।

 

বাংলাদেশের সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমেদ বলেন, আমরা ভারত সরকারকে, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাতে চাই। এত বড় একটা আন্তর্জাতিক বইমেলায় অংশগ্রহণে আমাদের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। বাংলাদেশের সরকারি-বেসরকারি ও ছোট-বড় মিলিয়ে ৪৫টি স্টল রয়েছে। আমাদের বাংলাদেশের বইয়ের একটা প্রচার দরকার ছিল, যা এই আন্তর্জাতিক মেলা থেকে হচ্ছে।

 

তিনি আরও বলেন, বাংলা বইয়ের যে মাধুর্য ও প্রাচুর্য সেটা কিন্তু বাংলাদেশের বইয়ে রয়েছে। আমাদের প্রকাশকরা কিন্তু অনেক উন্নত মানের। বাংলাদেশে যে প্রকাশনা শিল্প গড়ে উঠেছে সেটা বিশ্বমানের। একসঙ্গে আটটি রঙিন বই ছাপতে পারে তারা।

বাংলাদেশের বই কলকাতায় সেইভাবে পাওয়া যায় না কেন- এমন প্রশ্নের উত্তরে বাংলাদেশ সাহিত্য একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নুরুল হুদা বলেন, আমাদের বাংলা একাডেমি থেকে প্রায় ২০ বছর আগে একটি উদ্যোগ নিয়েছিলাম। নয়া উদ্যোগ নামে একটি প্রতিষ্ঠান কাজটি করেছিল ও তার সহযোগী ছিল বাংলাদেশের অনেকেই। তবে বাংলাদেশের প্রকাশকরা পশ্চিমবঙ্গের লেখকদের বই বাংলাদেশে নিয়ে গেলেও পশ্চিমবঙ্গের প্রকাশকরা বাংলাদেশের বই সেভাবে আনেন না।

 

তিনি আরও বলেন, এখানে একটা অসমতা রয়ে গেছে। যদি দুই দেশের প্রকাশকরা বইয়ের সুষম আদান-প্রদান করেন, তাহলে এই সমস্যার সমাধান খুব সহজেই হয়ে যাবে।

 

কলকাতায় বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস বলেন, যেকোনো মানুষ যখন বইমেলায় আসেন, তখন তার অনুভূতিটা অন্য রকম হয়। আজকের বইমেলার অনুভূতিটা অনেক বেশি, কারণ এই মেলার আয়োজনে আমাদেরও একটা ভূমিকা রয়েছে। বাংলাদেশের প্রকাশনাগুলো খুব আগ্রহের সঙ্গে এই আন্তর্জাতিক বইমেলায় অংশগ্রহণ করে।

 

৩২০০ স্কয়ার ফুটের বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে ১০টি সরকারি ও ৩৫টি বেসরকারি স্টল থাকবে। ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্বঅধরা মানবিক সংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত রিকশা ও রিকশাচিত্র দিয়ে সাজানো হয়েছে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন।

 

এই মেলায় অংশ নেওয়া সরকারি সংস্থাগুলো হলো গণগ্ৰন্থগার অধিদপ্তর, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর, প্রত্নতত্ত্ব, বাংলাদেশ শিশু একাডেমি, জাতীয় গ্ৰন্থকেন্দ্র, বাংলা একাডেমি, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর, কবি নজরুল ইনস্টিটিউট ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন। আগামী শনিবার ২০ জানুয়ারি পালিত হবে বাংলাদেশ দিবস।

 

উদ্ধোধনের সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু, বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়, ইন্দ্রনীল সেন, দোলা সেনসহ আরও অনেকে। এছাড়া বিভিন্ন দেশ থেকে আসা অতিথিরাও উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এই মেলাকে কেন্দ্র করে পুরো মেলা প্রাঙ্গণ নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে।

 

0Shares

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ