দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা ফেল করেছে: বাম গণতান্ত্রিক জোট

প্রকাশিত: ৩:২৯ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ২৮, ২০২৪

দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা ফেল করেছে: বাম গণতান্ত্রিক জোট

ডায়াল সিলেট ডেস্ক :: বর্তমান নির্বাচনী ব্যবস্থার মাধ্যমে জনমতের প্রকৃত প্রতিফলন ঘটবে না জানিয়ে বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা বলেছেন, দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা ফেল করেছে।

 

শনিবার দেশব্যাপী দ্রব্যমূল্য হ্রাস, সিন্ডিকেট ভাঙা ও রেশনিং ব্যবস্থা চালু, পাচারকৃত টাকা ফেরত এনে দুর্নীতিবাজ ও লুটপাটকারীদের বিচার এবং গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করে বাম গণতান্ত্রিক জোট। বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে এ কথা বলেন নেতারা।

 

সমাবেশে বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, যে ব্যবস্থায় এক শতাংশ মানুষ ভোট দিলে ওই ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের বৈধ বলা হয়, যে ব্যবস্থায় অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন না হলেও তাকে বৈধ বলা হয়, যে ব্যবস্থায় নির্বাচন টাকাওয়ালা ও ক্ষমতাধরদের হাতে বন্দী থাকে—সেই ব্যবস্থার পরিবর্তন ছাড়া ভালো নির্বাচন এবং যোগ্যতম নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি আশা করা যায় না। পুরো নির্বাচনী ব্যবস্থা ফেল করেছে। তাই পুরো নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার ছাড়া নির্বাচনে জনমতের প্রতিফলন ঘটবে না।

 

প্রিন্স বলেন, সরকারের কাছে টাকা নাই। ব্যাংকগুলো যদি টাকা ছাপে তাহলে কী হবে? রাজনৈতিক সংকট চলছে, অর্থনৈতিক সংকটও ধেয়ে আসছে। আর পররাষ্ট্রনীতির কথা কী বলব! সাম্রাজ্যবাদী শক্তির কাছে মাথানত করে থাকা ছাড়া আর কোনো পথ নেই।

 

বর্তমান সংসদ ‘ব্যবসায়ীদের সংসদ’ উল্লেখ করে সিপিবির এই নেতা বলেন, ‘মানুষ মনে করেছিল সরকার এবার নতুন কিছু কাজ করে দেখাবে। কিন্তু ২০ দিন পেরিয়ে গেলেও একই অবস্থা। জিনিসপত্রের দাম বাড়ছেই। গ্যাসের দাম, পানির দাম, বিদ্যুতের দাম আরও বাড়বে।’

 

বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, মানুষের হাতে টাকা নেই, কম খেয়ে বেঁচে আছেন, ঠিকমতো শিক্ষা, চিকিৎসা করতে পারছে না। কিন্তু অন্যদিকে একাংশ মানুষ টাকার পাহাড় গড়ছে। টাকা পাচার হচ্ছে, খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়েই চলছে। প্রতিটি মানুষের কাঁধে বিদেশি ঋণের বোঝাও বেড়ে চলছে।

 

সমাবেশে অন্য নেতারা বলেন, সরকারের নতজানু নীতির কারণে এ ধরনের সীমান্ত হত্যা ঘটেই চলেছে। নিজেদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে বিদেশি শক্তির হস্তক্ষেপ ও অন্যায় আবদার মেনে নিয়ে সরকার দেশ পরিচালনা করছে। যা স্বাধীন-সার্বভৌম দেশের প্রতি হুমকি।

 

সমাবেশে ২৮ জানুয়ারি থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সারা দেশে মতবিনিময়সহ সভা-সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এ ছাড়া নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য হ্রাস না হলে খাদ্য মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি জানান নেতারা।

 

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নজরুল ইসলাম, বাসদ মার্ক্সবাদীর সমন্বয়ক মাসুদ রানা, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আলী প্রমুখ।

 

0Shares

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ