সিন্ডিকেট বাণিজ্যকে চাঙ্গা করে তুলেছে আওয়ামী লীগ : এবি পার্টি

প্রকাশিত: ৩:২৪ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৪

সিন্ডিকেট বাণিজ্যকে চাঙ্গা করে তুলেছে আওয়ামী লীগ : এবি পার্টি

ডায়াল সিলেট ডেস্ক :: একটি অবৈধ একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেই পূর্বের ন্যায় সিন্ডিকেট বাণিজ্যকে চাঙ্গা করে তুলেছে আওয়ামী লীগ। যার ফলে ক্রমাগত দ্রব্যমূল্যের যাতাকলে পিষ্ট হচ্ছে জনগণ। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করে সরকারদলীয় ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ গড়ে তুলেছে ধর্ষণ, সন্ত্রাস আর নৈরাজ্যের অভয়ারণ্য।

 

শনিবার রাজধানীর বিজয়নগরে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধর্ষণ নৈরাজ্যের প্রতিবাদে আয়োজিত নাগরিক সমাবেশে এসব কথা বলেন আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) নেতারা।

 

বক্তারা বলেন, সরকারের এই সিন্ডিকেট বাণিজ্য ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এই অরাজকতা আর চলতে দেওয়া যায় না। অবিলম্বে তারা জনগণের রক্তচোষা সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নৈরাজ্যের প্রতিবাদে জনগণকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান।

 

বেলা সাড়ে ১১টায় দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় সংলগ্ন বিজয়-৭১ চত্বরে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে এবি পার্টির যুগ্ম আহবায়ক অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন, স্বাধীনতার সকল অঙ্গীকার আওয়ামী লীগ ভঙ্গ করেছে। সারা বাংলার কৃষক যা উৎপাদন করে তার মূল্য সে পায় না। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের গুন্ডাপান্ডারা রাস্তার মোড়ে মোড়ে চাঁদাবাজি করে এমন পরিস্থিতি তৈরি করেছে যা সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আর থাকছে না। আমদানিকৃত সকল পণ্য আওয়ামী সিন্ডিকেটের দখলে।

 

দলের যুগ্ম আহ্বায়ক বিএম নাজমুল হক বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলেই জনগণের মধ্যে হাহাকার তৈরি হয়। মানুষের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পরে। সব সময়ই তারা লুটপাট করে মানুষের সকল অধিকার হরণ করে। সারা বিশ্বে রমজানে জিনিসপত্রের দাম কমে, অন্যদিকে আওয়ামী লীগ রমজানের আগেই সিন্ডিকেট করে সব জিনিসের দাম বাড়িয়ে মানুষের জীবনকে অসহনীয় করে তুলেছে।

 

সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, সকল ক্যাম্পাস থেকে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংগঠনগুলোকে অস্ত্রের জোরে বের করে দিয়ে দখলে নিয়েছে ছাত্রলীগ। এখন তারা নিজেরাই নিজেদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে।

 

0Shares

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ