ভাষা আন্দোলনসহ দেশে ইতিহাস বিকৃতির মহোৎসব চলছে : ড. হেলাল

প্রকাশিত: ২:৫৯ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৪

ভাষা আন্দোলনসহ দেশে ইতিহাস বিকৃতির মহোৎসব চলছে : ড. হেলাল

ডায়াল সিলেট ডেস্ক :: জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন বলেছেন, ২০২৪ সালে দাঁড়িয়েও অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করছি খোদ রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় ৫২’র ভাষা আন্দোলনের সেই গৌরবের ইতিহাস বিকৃতির মহোৎসব চলছে।

 

বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবস উপলক্ষ্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের হাজারীবাগ পশ্চিম থানার উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

 

তিনি বলেন, ভাষা আন্দোলনের মূল ইতিহাস ছিল তমুদ্দুন মজলিশ তথা এ দেশের ইসলামী নেতৃত্ব দ্বারা পরিচালিত একটি অধিকার আদায়ের আন্দোলন। অথচ সেক্যুলার ও নাস্তিক্যবাদীরা ইতিহাস বিকৃত করে ভাষা আন্দোলনকে তাদের ফসল বলে মিথ্যা দাবি ও বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছে।

 

তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে আমরা পালন করছি। ১৯৫২ সালের এই দিনে নিজেদের ভাষার অধিকার আদায়ের জন্য এ দেশের মানুষ জীবন দিয়ে বিশ্বের ইতিহাসে এক বিরল দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করেছেন। তারা শাহাদাতবরণ করলেও যুগের পর যুগ ধরে তারা আমাদের মাঝে বেঁচে আছেন।

 

অ্যাডভোকেট হেলাল উদ্দিন বলেন, ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন, ভাষা সংগ্রামে যারা শহীদ হয়েছেন সবাই ইসলামপন্থি এবং মুসলিম ছিলেন। তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলীর হাতে ভাষার দাবিতে প্রথম স্মারকলিপি দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের (ডাকসু) জি.এস অধ্যাপক গোলাম আজম। দেশের অন্য কোনো নেতা সেটি তুলে দেওয়ার সাহস করেনি।

 

ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নায়েবে আমির বলেন, সেই স্মারকলিপিতে শুধু ভাষার দাবিই পেশ করা হয়নি বরং এই বাংলাদেশের মানুষের বিভিন্ন অধিকার আদায়ের দাবিও তুলে ধরা হয়েছিল। ফলে তৎকালীন সময়ে এই আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে অধ্যাপক গোলাম আজমকে তিন দফায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। অথচ আজকে বাংলাদেশে ইতিহাস বিকৃত করে অধ্যাপক গোলাম আযমের নাম মুছে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে। নতুন প্রজন্মকে এ দেশের প্রকৃত ইতিহাসকে জানতে দেওয়া হচ্ছে না।

 

তিনি বলেন, বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে যারা বাংলা ভাষার মান উঁচু করেছেন। তাদেরকে আমরা যথাযথ সম্মান দিতে ব্যর্থ হচ্ছি। দেশের সর্বোচ্চ আদালতেও বাংলা ভাষা আজও উপেক্ষিত রয়েছে। বিদেশি ভাষার আগ্রাসন এবং অপসংস্কৃতি আজ বাংলাদেশের নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতিকে গ্রাস করে ফেলছে। টেলিভিশন ও বিভিন্ন মাধ্যমে আমাদের ছোট ছোট সন্তানেরা বিদেশি ভাষা ও অপসংস্কৃতির কবলে পড়ছে। এ জন্য আমাদেরকে সচেতন হতে হবে, বিদেশি এসব আগ্রাসন থেকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বাঁচাতে হবে। রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রে এই সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।

 

২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবস উপলক্ষ্যে আজ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের বিভিন্ন থানায় কর্মসূচি পালন করা হয়।

 

0Shares