জিম্মি জাহাজের নজর রাখছে ‘অপারেশন আটলান্টা’ ভয় কাটছেনা নাবিকদের পরিবারের

প্রকাশিত: ১১:৫৫ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ১৫, ২০২৪

জিম্মি জাহাজের নজর রাখছে ‘অপারেশন আটলান্টা’ ভয় কাটছেনা নাবিকদের পরিবারের

ডায়ালসিলেট ডেস্ক :: সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ’র ওপর একটি ভারত মহাসাগরে থেকে জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’ এর পিছু নিয়েছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) মেরিটাইম সিকিউরিটি ফোর্সের একটি যুদ্ধজাহাজ।

 

 

তারা জিম্মি হওয়া ‘এমভি আবদুল্লাহ’ জাহাজের ওপর নজর রাখছে ইউরোপীয় জাহাজ ‘অপারেশন আটলান্টা’ নামে পরিচিত ইউনিয়নের (ইইউ) মেরিটাইম সিকিউরিটি ফোর্সটি। এবিসি নিউজের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। তারা জানায়, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এর অন্তর্ভুক্ত একটি জাহাজই ‘এমভি আবদুল্লাহকে’ ছায়ার মতো অনুসরণ করছে।

 

 

গত মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বাংলাদেশ সময় দুপুর দেড়টার দিকে জাহাজটি নিয়ন্ত্রণে নেয় একদল সোমালিয়ার জলদস্যুরা। সে সময়ে জাহাজটি সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসু থেকে প্রায় ৭০০ মাইল দূরে ছিল। জাহাজে থাকা ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিক ও ক্রু বর্তমানে জলদস্যুদের হাতে জিম্মি।

 

 

ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের উৎপাত এড়াতে এবং প্রতিহত করতে কাজ করে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অপারেশন আটলান্টা।

 

বুধবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যায় জাহাজটির সর্বশেষ অবস্থান ছিল সোমালিয়া উপকূল থেকে ১৭০ নটিক্যাল মাইল দূরে। এটি ক্রমশ উপকূলের দিকে যাচ্ছিল।

 

 

জিম্মির কবলে পড়া বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ এ অন্তত ৬০ জন জলদস্যু অবস্থান নিয়েছে। জাহাজটি বর্তমানে সোমালিয়ার কাছাকাছি কোনো স্থানে নোঙর করা অবস্থায় রয়েছে। জলদস্যুদের হাতে জিম্মি নাবিকরা মোটামুটি সুস্থ আছেন।

 

 

মার্চেন্ট নেভির ক্যাপ্টেন আতিক ইউএ খান জানান, ‘বুধবার রাতে এমভি আব্দুল্লাহ’র চিফ অফিসার ক্যাপ্টেন আতিক উল্লাহ অপরিচিত হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট থেকে অডিও পাঠিয়েছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, গত রাতে সবার মোবাইল সিজ করা হয়েছিল। সবাইকে ব্রিজে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে শারীরিকভাবে আঘাত করা হয়নি। সবাই যেহেতু কো-অপারেশন করছে, জলদস্যুরাও ভালো আচরণ করছে। সবাইকে সেহরি করানোও হয়েছে।

 

 

এদিকে কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন রকম আশার বাণী শোনালেও নাবিকদের পরিবারের সদস্যদের ভয় কাটছে না। নানা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা নিয়েই বুধবার সকালে নগরের আগ্রাবাদে বারিক বিল্ডিং এলাকায় কবির গ্রুপের প্রধান কার্যালয়ে ভিড় করতে শুরু করেন তারা। কর্তৃপক্ষ অক্ষত অবস্থায় জিম্মি নাবিকদের ফেরানোর আশ্বাস দিলেও কিছুতেই আশ্বস্ত হতে পারছেন না তারা।

 

তিনি বলেন, জাহাজটি এরইমধ্যে গ্যারাকাড উপকূলে পৌঁছেছে। এরপর হয়তো দস্যুরা তাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে কথা বলবে। তবে এখনো তাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ হয়নি।

 

 

0Shares