ডায়ালসিলেট ডেস্ক :: ইসলামীবিদ্বেষী মনোভাব নিয়ে মানিকগঞ্জ জেলার কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজের গাইনি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. প্রতিমা রানী বিশ্বাসকে কলেজের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে প্রত্যাহারের পর এবার ওএসডি করা হয়েছে।

হিন্দুত্ববাদী মনোভাব নিয়ে প্রতিমা রাণী কোন কারণ ছাড়াই শিক্ষার্থীদের জোরপূর্বক শিক্ষার্থীদের দাড়ি, টুপি-পাঞ্জাবি, বোরকা, হিজাব খুলতে বাধ্য করাসহ ইসলাম বিদ্বেষী মনোভাব নিয়ে ক্লাসের নানা ধরনের বিতর্কিত মন্তব্য করতেন। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় তার উপর ইসলাম বিদ্বেষী মনোভাব নিয়ে বিতর্ক করা নিয়ে নানান অভিযোগ রয়েছে।

স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগ পারসোনাল-১ শাখার উপসচিব দূর-রে- শাহওয়াজ স্বাক্ষরিত এক পত্রে জানানো হয়েছে, বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারের কর্মকর্তা সহকারী অধ্যাপক ডা. প্রতিমা রানী বিশ্বাসকে ওএসডি করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ন্যস্ত করা হয়েছে। গত শনিবার এই আদেশ জারি করা হয়।

উপসচিব দূর-রে-শাহওয়াজ ওই পত্রে জানান, পদায়ন করা ওই কর্মকর্তা আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে নতুন কর্মস্থলে যোগদান না করলে চতুর্থ কর্মদিবসে স্ট্যান্ড রিলিজ বলে গণ্য হবে।

এর আগে শনিবার মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ জরুরি বৈঠক আহ্বান করে তাকে কলেজের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়। এ ছাড়া অভিযুক্ত সহকারী অধ্যাপক ডা. প্রতিমা রানী বিশ্বাসের ওএসডির চিঠি শনিবার রাতেই তিনি পেয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন কলেজটির অধ্যক্ষ ডা. জাকির হোসেন।

অধ্যক্ষ ডা. জাকির হোসেন জানান, অভিযুক্ত সহকারী অধ্যাপক ডা. প্রতিমা রানী বিশ্বাসের ওএসডির চিঠি শনিবার রাতেই তিনি পেয়েছেন। এ বিষয়ে অভিযুক্ত ডা. প্রতিমা রানী বিশ্বাস ওএসডির বিষয়টি স্বীকার করেছেন। জেলার কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজের গাইনি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. প্রতিমা রানী বিশ্বাসকে কলেজের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে প্রত্যাহারের পর এবার ওএসডি করা হয়েছে।