ইকুয়েডরের সবচেয়ে কম বয়সী মেয়র গার্সিয়াকে গুলি করে হত্যা

প্রকাশিত: ১০:৩৭ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৫, ২০২৪

ইকুয়েডরের সবচেয়ে কম বয়সী মেয়র গার্সিয়াকে গুলি করে হত্যা

গত বছর মাত্র ২৬ বছর বয়সে স্যান ভিকেন্তে নামে ইকুয়েডরের একটি শহরের মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন ব্রিজিত গার্সিয়া। বলা হচ্ছিল—ইকুয়েডরের ইতিহাসে তিনিই সবচেয়ে কম বয়সী মেয়র। কিন্তু নির্বাচিত হওয়ার এক বছরের মধ্যেই আততায়ীর গুলিতে নিহত হলেন গার্সিয়া।

 

আজ রোববার এ বিষয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গার্সিয়াকে হত্যার ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। ঠিক কী কারণে তিনি হত্যাকাণ্ডের শিকার হলেন সেই বিষয়টিও জানা যায়নি।

 

ব্রিজিত গার্সিয়া হলেন ইকুয়েডরে একের পর এক হত্যাকাণ্ডের শিকার সর্বশেষ রাজনীতিবিদ। গত বছর দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রার্থী ফার্নান্দো ভিলাভিকেনসিওকেও হত্যা করা হয়েছে।

 

স্থানীয় সময় অনুযায়ী, রোববার দিনের শুরুর দিকে জাইরো লোর নামে এক যোগাযোগ কর্মকর্তা সহ মেয়র গার্সিয়াকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। পুলিশ বলছে, তাঁরা যে গাড়িটিতে চড়েছিলেন—সেই গাড়ির ভেতর থেকেই কেউ তাঁদের গুলি করে হত্যা করেছে।

 

সাধারণ একজন নার্স থেকে নির্বাচনে বিজয়ের মধ্য দিয়ে স্যান ভিকেন্তে শহরের মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন গার্সিয়া। শহরটি ইকুয়েডরের মানাবি প্রদেশের অন্তর্ভুক্ত। কোকেন পাচারকে কেন্দ্র করে মাদকের বিভিন্ন গ্যাং অস্থিতিশীল করে রেখেছে উপকূলীয় এই প্রদেশটিকে। এখান থেকে ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রেও মাদক পাচার করা হয়। গার্সিয়ার আগে মানাবি প্রদেশেরই বন্দর শহর মান্তার মেয়র অগাস্টিন ইন্ট্রিয়াগোকে হত্যা করেছিল বন্দুকধারীরা। টানা দুইবার মান্তার মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। আর গত বছরেরই ফেব্রুয়ারিতে মানাবি প্রদেশেরই পোর্তো লোপেজ শহরে নির্বাচনের কয়েক ঘণ্টা আগে হত্যা করা হয়েছিল মেয়র প্রার্থী ওমর মেনেন্দেজকে।

বিভিন্ন গ্যাং মাথাচাড়া দেওয়ায় তাদের নির্মূল করার জন্য ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল নবুয়া গত জানুয়ারিতে দেশজুড়ে দুই মাসের জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন। গত ৭ মার্চ ওই জরুরি অবস্থা আরও এক মাসের জন্য বাড়ানো হয়েছে।

 

ইকুয়েডর সরকারের তথ্যমতে, চলমান জরুরি অবস্থার মধ্যে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীগুলো দেড় লাখেরও বেশি অভিযান পরিচালনা করেছে এবং ১০ হাজারের বেশি সন্দেহভাজনকে আটক করেছে। তবে ব্রিজিত গার্সিয়ার হত্যাকাণ্ডের জের ধরে সরকারের সমালোচনায় মুখর হয়েছে বিরোধীরা। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নবুয়ার কাছে পরাজিত হওয়া লুইজা গঞ্জালেস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাক্সে টুইট করেছেন, ‘ইকুয়েডরে কেউই নিরাপদ না।’

 

0Shares

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ