প্রকাশিত: ৫:৩০ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ২৮, ২০২৪
ডায়াল সিলেট ডেস্ক :: দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়নে তরুণদের আসার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘অর্থনীতি আজকে চরম দুর্বৃত্তায়িত। সবকিছু সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। রমজান মাসে মানুষের আরও খারাপ অবস্থা। দুঃশাসন সবখানে ছড়িয়ে পড়েছে। সব লুটেরাদের দায়িত্বে বসানো হয়েছে, যাতে ভালোভাবে লুট করা যায়। অবস্থা পরিবর্তনের জন্য তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে।’
বুধবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জিয়াউর রহমানকে ছোট করা, অসম্মান করা মানে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে অসম্মান করা উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘স্বাধীনতার ঘোষক নিয়ে কোনো বিতর্ক হতে পারে না। তাহলে স্বাধীনতা যুদ্ধই বিতর্কিত হয়।’
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষণা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সাহেব দিয়েছিলেন। এটা নিয়ে কোনো বিতর্ক হতে পারে না। সেটা বিতর্কিত করতে গেলে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকেই বিতর্কিত করা হয়। আজকে যারা এটা করছে, তারা মূলত স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি নন।’
তিনি বলেন, ‘সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ঘোষণার মধ্য দিয়ে একটা দিশেহারা জাতি, যারা স্বাধীনতার ঘোষণার জন্য অপেক্ষা করছিল, তারা দিশা খুঁজে পেয়েছিল। আজকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগ অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে এই কাজটি করে যাচ্ছে।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘স্বাধীনতা যুদ্ধে যারা প্রাণ দিয়েছিলেন, তাদের একটাই লক্ষ্য ছিল-একটা গণতান্ত্রিক দেশ প্রতিষ্ঠা করা। কিন্তু এই আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করেছিল।’
আওয়ামী লীগ বর্ণবাদী গোষ্ঠীতে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন শুধু ফ্যাসিস্টদের কবলে পড়েনি, বর্ণবাদীদের কবলেও পড়েছে। বিএনপি যারা করে তাদের ঘরবাড়ি, জমি, ব্যবসা দখল করে নেওয়া হচ্ছে। চাকরির সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। দূরসম্পর্কের আত্মীয়দেরও বিএনপি হিসেবে চিহ্নিত করে বঞ্চিত করা হচ্ছে। এটা বর্ণবাদ ছাড়া অন্য কিছু না।’
অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জনগণ বিশ্বাস করলেও আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে না। ১৮ কোটি মানুষের হাতে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিতে না পারা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে, এটাই আমাদের আজকের শপথ।’
সভাপতির বক্তব্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘৭১ সালের ২৫ মার্চে দুঃসময়ে মাহেন্দ্রক্ষণে কাউকে তো খুঁজে পাওয়া যায়নি, তখন আপনারা কোথায় ছিলেন? ২৫ মার্চ রাতে ঘোষণা দেওয়ার জন্য বঙ্গবন্ধুর কাছে একটি টেপ রেকর্ডার নিয়ে গিয়েছিলেন তাজউদ্দীন আহমদ। কিন্তু তিনি তো ঘোষণা দেননি। তিনি বলেছিলেন-আমি দেশ ভাগের দায়িত্ব নিতে পারব না।’
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন—বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, আব্দুল্লাহ আল নোমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির প্রমুখ।
Address: Kaniz Plaza, Zindabazar, Sylhet
United Kingdom, London Mobile :+447438548379
dialsylhetnews@gmail.com
Design and developed by AshrafTech