একদিনে সড়ক দূর্ঘটনায় পরিবারের ৩ সদস্যসহ নিহত ১১ জন

প্রকাশিত: ৭:১১ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ১০, ২০২৪

একদিনে সড়ক দূর্ঘটনায় পরিবারের ৩ সদস্যসহ নিহত ১১ জন

ডায়ালসিলেট ডেস্ক :: চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও কুমিল্লায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় একদিনে অন্তত ১১ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে একই পরিবারের ৩জন সদস্য রয়েছেন। পরিবারের আত্নীয়-স্বজনদের সাথে ঈদ পালনে যাত্রাপথে সড়কে এই প্রাণহানি ঘটে। মঙ্গলবার ভোররাত থেকে বিকেল পযন্ত এ দুর্ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড ‍উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের চৌধুরী ঘাটা এলাকায় বাস-ট্রাক সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন।

 

আহত পাঁচ যাত্রীকে স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। স্থানীয়সূত্রে জানা যায় চৌধুরী ঘাটা এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী লেনে একটি ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে গ্রামবাংলা পরিবহনের একটি বাস বেপরোয়া গতিতে এসে ট্রাকটিকে পেছন থেকে সজোরে ধাক্কা দেয়। দুর্ঘটনার আগেই চালক বাস থেকে লাফ দিয়েছিলেন এবং নিজের গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এছাড়া একজন যাত্রী মারা গেছেন।

 

এদিকে ময়মনসিংহ জেলার সদর, ত্রিশাল ও তারাকান্দা উপজেলায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৩ জন সদস্যসহ মোট ৮ জন নিহত হয়েছেন।

 

জানা যায়, দুপুরে ল্যাংড়াবাজার এলাকায় ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল মহাসড়কে টাঙ্গাইলগামী একটি বাসে পেছন থেকে ধাক্কা দেয় মাহেন্দ্র অটোরিকশা।

 

 

এতে অটোরিকশার তিনি যাত্রীর মৃত্যু হয়। তারা একই পরিবারের সদস্য। আহত হয়েছেন আরও সাতজন। নিহত তিনজন হলেন—লুৎফর রহমান (৩০), তার স্ত্রী শাহনাজ (২৫) ও দুই বছর বয়সী ছেলে মাহিত। মাহিত ঘটনাস্থলেই মারা গেছে। এই দম্পতির আরেক ছেলে মোজাহিদ (৬) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

 

 

দুপরে ত্রিশালের বালিপাড়া রোডে বাসের ধাক্কায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি অটোরিকশার দুই যাত্রী নিহত হন। এ ছাড়া, ত্রিশাল পৌর এলাকার দরিরামপুর এলাকায় ঢাকা- ময়মনসিংহ মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন। একটি পিক-আপ ভ্যান ইউটার্ন নেয়ার সময় ময়মনসিংহগামী বাস ধাক্কা দিলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। জেলার তারাকান্দা উপজেলায় বাসের ধাক্কায় একজন নিহত হয়েছেন।

 

মঙ্গলবার ভোররাত আড়াইটার দিকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বাস-কাভার্ড ভ্যান সংঘর্ষে একজন নিহত ও ১৫ জন আহত হন।

 

 

মিয়াবাজার হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসএম লোকমান হোসেন এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

 

 

0Shares

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ