প্রকাশিত: ৬:১৮ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ২৬, ২০২৪
ডায়ালসিলেট ডেস্ক :: চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার কুমারী ইউনিয়নের দরিদ্র ভ্যানচালক তছের আলীর মেয়ে কাজলী খাতুন(২৬) নামে এক নারীকর্মী তার পরিবারের সচ্ছলতা ফেরাতে কাজের জন্য দুবাই গিয়ে খুন হয়েছেন।
গত ১৯শে এপ্রিল দুবাই কর্মস্থলেই তিনি খুন হন। তার মৃত্যুর খবরে পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। কবে লাশ দেশে ফিরবে, এখন সেই অপেক্ষায় দিন গুনছে তার পরিবার।
এলাকাবাসী জানায়, গত শুক্রবার কাজলীর এক নারী সহকর্মী দুবাই থেকে মোবাইলে কাজলীর পরিবারকে মৃত্যুর খবর দেন। প্রবাসে কাজলীর মৃত্যুর খবর পেয়ে তার পরিবারের সদস্যরা দিশাহারা হয়ে পড়েন। খবর পাওয়ার পর থেকেই তার মা ও বাবা মেয়ের শোকে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন।
তার পিতা তছের আলী বলেন, কাজলী তার মেজো মেয়ে। কাজলী ও তার ছোট বোন ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। সেখান থেকে বাড়িতে কাউকে কিছু না জানিয়েই তিনি ৭ মাস আগে দুবাই চলে যান। পরে একদিন কাজলী মোবাইলে জানান সে দুবাই আছে। ভালো কাজও পেয়েছেন সেখানে। এরই মধ্যে ৬ মাস পর দুবাই থেকে গত ৬ রোজায় ঈদের ছুটিতে বাড়িতে আসে কাজলী। কিন্তু পরিবারের সঙ্গে ঈদ না করেই কর্মস্থলে ফিরে যান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ফোনে তার এক সহকর্মী জানায়- সুপারভাইজারের নিকট বেতনের বেশকিছু টাকা পেতেন কাজলী। টাকা চাওয়া নিয়ে তার সঙ্গে কাজলীর কথা কাটাকাটি হলে সুপারভাইজার লোকমান হোসেন একটি কাঁচের বোতল দিয়ে মেয়ের মাথায় আঘাত করলে তার মৃত্যু হয়। ওই সুপারভাইজারের শ্বশুরবাড়ি টাঙ্গাইল।
কিন্তু তার বাড়ি কোথায় তা জানেন না তিনি। আমি এর বিচার চাই। যতদ্রুত সম্ভব আমার মেয়ের লাশ ফিরিয়ে দেয়া হোক।
এ বিষয়ে কুমারী ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ পিন্টু বলেন, দুবাইয়ে কর্মস্থলে কাজলী খুন হয়েছেন বলে জেনেছি। তার লাশ দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসার জন্য সকল প্রকার আবেদন করা হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব লাশ দেশে নিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।
Address: Kaniz Plaza, Zindabazar, Sylhet
United Kingdom, London Mobile :+447438548379
dialsylhetnews@gmail.com
Design and developed by AshrafTech