দেশে সরকারি হাসপাতাল ও ব্যাংকগুলোতে অনিয়ম আর দূর্নীতি সীমাহীন

প্রকাশিত: ১০:০৪ অপরাহ্ণ, মে ১২, ২০২৪

দেশে সরকারি হাসপাতাল ও ব্যাংকগুলোতে অনিয়ম আর দূর্নীতি সীমাহীন

ডায়ালসিলেট ডেস্ক :: দেশে সরকারি হাসপাতাল ও ব্যাংকগুলোতে অনিয়ম আর দূর্নীতি সীমাহীন বেড়েই চলেছে আওয়ামীলীগ  অবৈধভাবে দখল করে আসা আওয়ামীলীগ সরকার। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের পর  দেশের সংকট , সরকারের সংকট আরো গভীর হয়েছে। সরকারকে সতর্ক করে দিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আপনারা যদি এখনো সেটা উপলব্ধি না করেন, সংকট নিরসনের চেষ্টা না করেন, তাহলে ভবিষ্যৎ তাদের জন্য খুব ভালো না।

 

তিনি বলেন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সমাজ বিনির্মাণের লক্ষ্যে চলমান আন্দোলন এবং জনগণের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

 

 

রোববার বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি। গত ৮ই মে বিএনপির স্থায়ী কমিটির ভার্চ্যুয়াল বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

 

 

 

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্তগুলো এই সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরেন বিএনপির মহাসচিব।

 

 

 

মির্জা ফখরুল বলেন, তথাকথিত উন্নয়নের দোহাই দিয়ে যে রাষ্ট্রব্যবস্থায় নৈতিকতা এবং মূল্যবোধকে বিসর্জন দেয়া হয়, জনগণের কাছে সেটি উন্নত রাষ্ট্র হিসাবে বিবেচিত হয় না। মনে রাখা প্রয়োজন, জীবন এবং জীবিকার দ্বন্দে জীবিকার কাছে যেন জীবন হেরে না যায়। তেমন একটি বৈষম্যহীন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র এবং সমাজ বিনির্মাণের লক্ষ্যেই চলমান আন্দোলন এবং জনগণের এই আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত বিএনপির আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

 

 

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু’র ঢাকা সফর এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যে পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, কে আসলো না আসলো এটা নিয়ে বিএনপি আগ্রহী না। বাংলাদেশের জনগণই আমাদের ভরসা। আমাদের পুরো আস্থা দেশের জনগণ। সেই আস্থার ওপরেই আমরা দাঁড়িয়ে থাকি।

 

 

 

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, দেশে যে ভয়াবহ সর্বগ্রাসী দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে সরকারি দলের সমর্থকদের সঙ্গে সম্পৃক্ত ঋণ খেলাপি ও অসাধু ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষার জন্যই এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। যেহেতু এই সরকারের কোনো স্তরেই জবাবদিহিতা নেই সেহেতু লাগামহীনভাবে ব্যাংক লুট, অর্থ পাচার, জনগণের অর্থ লোপাটের মাধ্যমে একটি বিশেষ গোত্র তৈরি করা হচ্ছে। যারা এই অবৈধ সরকারের অবৈধ কর্মকাণ্ডকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করছে।

 

 

 

অবিলম্বে অবৈধ তথ্য প্রবাহ নিশ্চিতের লক্ষ্যে সকল প্রকার অসাংবিধানিক নিষেধাজ্ঞা আইন প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।

 

 

সরকারি হাসপাতালের অবস্থা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারি হাসপাতালে কেউ গেছেন? যদি যান বিশেষ করে ঢাকার বাইরে সরকারি হাসপাতালে যান অবিশ্বাস্য হাসপাতালে ঢোকা যায় না এত দুর্গন্ধ, এত নোংরা, দালালদের অত্যাচার- চিন্তা করা যায় না। আর হাসপাতালের চারপাশে নতুন নতুন ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিক গড়ে উঠেছে এটা বড় ব্যবসা। এখান থেকে দালালরা আসে, সরকারি হাসপাতাল থেকে ধরে নিয়ে যায় রোগী এই হচ্ছে স্বাস্থ্যব্যবস্থা।

 

 

 

0Shares