ডাকাতির উদ্দেশ্যে বাসায় ঢুকে কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ

প্রকাশিত: ৭:১৫ পূর্বাহ্ণ, মে ২১, ২০২৪

ডাকাতির উদ্দেশ্যে বাসায় ঢুকে কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ

ডায়ালসিলেট ডেস্ক :: নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার এলাকায় ডাকাতির উদ্দেশ্যে বাসায় ঢুকে এক কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে চার যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। গত শুক্রবার এ ঘটনা ঘটে।

গতকাল সোমবার কারওয়ান বাজার কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম। গ্রেপ্তাকৃতরা হলেন মো. আব্দুল্লাহ, চান মিয়া, আয়নাল ও মো. মতিন।

গ্রেপ্তারের সময় তাঁদের কাছ থেকে একটি দেশীয় ওয়ান শুটার গান, ১টি শাবল, ১ টি দা, ২টি রামদা ও ভুক্তভোগীর মোবাইলসহ ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত সিএনজি উদ্ধার করা হয়।

আরাফাত ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বাসায় ডাকাতি করতে ঢুকে কিশোরীকে ধর্ষণের সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। তারা সংঘবদ্ধ একটি ডাকাতদলের সদস্য। চক্রে ১০ থেকে ১২ জন সদস্য রয়েছে। আব্দুল্লার নেতৃত্বে তারা এক থেকে দুই বছর ধরে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতি করে আসছিল।

তিনি বলেন, গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা গত ১৫ মে রাত আড়াইটার দিকে ডাকাতির উদ্দেশ্যে ওই কিশোরীর বাড়িতে যায়। সে সময় জানালা ভেঙে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে তাদের দুজন। এসময় তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে ভুক্তভোগী ও তাঁর মায়ের ঘুম ভেঙে যায়।

তাঁরা ভয়ে চিৎকার করেন। তাঁদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ডাকাতদল। এরপর ঘরের দরজা খুলে দিতে বলে তারা। এ সময় দেশি অস্ত্রসহ ডাকাতদলের অন্য সদস্যরা ঘরে প্রবেশ করে। তারা ভয়ভীতি দেখিয়ে ভুক্তভোগীর মাসহ ঘরে উপস্থিত সবার হাত, পা ও মুখ বেঁধে ফেলে।

এরপর ওই কিশোরীকে তাদের বাড়ির পাশের একটি ফাঁকা ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে কয়েকজন। পরে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় কিশোরীকে রেখে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় ডাকাতদল। এ সময় তারা এই ঘটনা সম্পর্কে কাউকে জানালে তার পরিবারকে হত্যার হুমকি দেয়।পরে ঐ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অজ্ঞাত পরিচয় পাঁচ-ছয়জনকে আসামি করে একটি ধর্ষণ মামলা করেন।

পরে জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে গোয়েন্দা নজরদারির এক পর্যায়ে র‌্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র‌্যাব-১১-এর একটি দল নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৪জনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতাররা ধর্ষণের সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে।

0Shares