ইন্টারনেট বন্ধের কারণ দর্শাতে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদের

প্রকাশিত: ১১:০৬ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১১, ২০২৪

ইন্টারনেট বন্ধের কারণ দর্শাতে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদের

ডায়ালসিলেট ডেস্ক :: বৈষম্যবিরোধী কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় আওয়ামীলীগ সরকারের থাকাকালীন সময়ে দেশজুড়ে কার নির্দেশে ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়, তা বের করতে হবে।

ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়ার সঙ্গে কারা কারা জড়িত, মন্ত্রণালয় ও বিটিআরসির কোন কোন কর্মকর্তা অতি উৎসাহী হয়ে ইন্টারনেট বন্ধে সহযোগিতা করেছেন, তাও খতিয়ে দেখতে হবে। এসব বিষয় জানতে চান ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।

 

 

এসময় ২৪ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়েছেন তিনি। এর মধ্যে তাঁর কাছে প্রতিবেদন জমা দিতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব মুশফিকুর রহমানকে নির্দেশ দেন।

 

 

অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর আজ রোববার প্রথম কার্যদিবসে সকাল ১০টায় সচিবালয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে যান উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।

 

 

পরে তিনি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে করেন। বৈঠকে উঠে আসে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় ইন্টারনেট বন্ধের বিষয়টি। এ সময় তিনি বলেন, ইন্টারনেট বন্ধ করা মানবাধিকারের লঙ্ঘন ক্ষুণ্ন হয়েছে বলে দাবি করেন।

 

 

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় গত ১৭ জুলাই রাত থেকে মোবাইল ইন্টারনেট ও ১৮ জুলাই রাতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয় শেখ হাসিনা সরকার। পাঁচ দিনের মাথায় ২৩ জুলাই ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ সীমিত পরিসরে চালু করা হয় এবং ১০ দিন পর ২৮ জুলাই মোবাইল ইন্টারনেট চালু হয়।

 

 

 

এরপর ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলন ঘিরে আবারও সরকারের নির্দেশে মোবাইল অপারেটররা দেশজুড়ে ফোর-জি নেটওয়ার্ক সেবা বন্ধ করে দেয়া হয়।

 

 

 

এ ঘটনায় উপদেষ্টার নির্দেশে ইন্টারনেট বন্ধের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করতে ৭ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়।

 

 

এ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (টেলিকম) এ কে এম আমিরুল ইসলামকে কমিটির প্রধান করা হয়। কমিটি গঠনের পর সদস্যরা যান রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত বিটিআরসি ভবনে। সেখানে তাঁরা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন।

 

বৈঠকে নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, দেশে ইন্টারনেট প্যাকেজের দাম অনেক বেশি। তিনি ইন্টারনেট প্যাকেজের দাম কমাতে মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন। বৈঠকে তিনি বলেন, দেশের কোথাও কোথাও এখনো মোবাইল নেটওয়ার্ক স্বাভাবিক হয়নি। মোবাইল নেটওয়ার্ক স্বাভাবিক করারও নির্দেশ দেন তিনি।

 

 

আমলাতন্ত্র থাকবে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত। আইনের মধ্যে থেকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে আমলাদের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার ত্যাগ ও রক্তদানের মধ্য দিয়ে নিরপেক্ষভাবে কাজ করার যে সুযোগ তৈরি হয়েছে, কর্মকর্তারা সেটি যেন কাজে লাগান।

 

তিনি চান, কর্মকর্তারা যাতে এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে কাঠামোগত সংস্কার করেন। যে সংস্কারের মধ্য দিয়ে দেশ দীর্ঘ মেয়াদে সুফল পাবে। এখন থেকে মন্ত্রণালয় চলবে মেধাভিত্তিক। দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না।

 

 

 

0Shares