বন্যার কারণে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান সীমিত করলো বিএনপি

প্রকাশিত: ২:৪৫ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৮, ২০২৪

বন্যার কারণে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান সীমিত করলো বিএনপি

দেশের পূর্বাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যার কারণে আগামী ১লা সেপ্টেম্বর দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান সীমিত আকারে পালন করবে বিএনপি। বুধবার দলের চেয়ারপার্সনের গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা জানান। মঙ্গলবার রাতে দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। এই সিদ্ধান্ত জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বিএনপি। এসময় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দেশে সম্প্রতি ভয়াবহ বন্যায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। ভারতের বাঁধ খুলে দেয়ায় এই বন্যা দুর্ভোগের সৃষ্টি করেছে। আমরা সাধ্যমতো বন্যার্তদের মাঝে সহায়তা করছি। একটি কেন্দ্রীয় ত্রাণ সেলও গঠন করা হয়েছে। চাল, ডাল, তেল, ওষুধ, কাপড়, শুকনা খাবারসহ বিভিন্ন সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে এক কোটি টাকা আমাদের নেতাকর্মীদের দেয়া হয়েছে।সেগুলো দিয়ে তারা ত্রাণ কিনে সহায়তা করছেন।

তিনি বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে বর্ণাঢ্য কর্মসূচির আয়োজন থাকছেনা। বরং সীমিতভাবে কর্মসূচি পালিত হবে। ১লা সেপ্টেম্বর কেবল শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে। দলীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। এছাড়া একটি দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হবে। যেখানে দেশের মানুষ ও ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হতাহতদের জন্য দোয়া করা হবে। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যাতে দ্রুত দেশে ফিরে আসতে পারেন, সেজন্য দোয়া করা হবে। সেসব টাকা বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ সহায়তা প্রদান করা হবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, কিছু কিছু জায়গায় দুর্বৃত্তরা অপকর্ম করে বিএনপির ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করছে। আমি স্পষ্ট করে বলছি যে, আমরা কোনো দুর্বৃত্তপনা বা অপরাধ বরদাশত করবো না। যারাই এসব করছে তাদের বিরুদ্ধে দল ইতিমধ্যে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ঢালাওভাবে মামলা যাতে না হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বলবো- আপনারা প্রাথমিকভাবে তদন্ত করুন। এ বিষয়ে দলের নেতাকর্মীদেরও আহ্বান জানাবো যে, এমন কোনো মামলা করবেন না যাতে সারবস্তু থাকবে না। আমরা একটা ক্রান্তিকাল পার করছি। এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সহযোগিতা করে একটি স্থিতিশীল পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে। কারণ অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম লক্ষ্য হলো নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করবে। তা না হলে কিন্তু সেটা হবেনা। মনে রাখতে হবে গণতান্ত্রিক দেশে নির্বাচিত প্রতিনিধি ছাড়া পরিবর্তন হয় না। এই সরকারকে আমরা যৌক্তিক সময় দিতে চাই।

0Shares

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ