অপরাধ জগতের আয়নাঘরের কারিগর জিয়াউলের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ

প্রকাশিত: ৪:৩৮ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪

অপরাধ জগতের আয়নাঘরের কারিগর জিয়াউলের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ

 

 

 

ডায়ালসিলেট ডেস্ক :: বিগত সরকারের আমলে ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজ গ্রামের মানুষদের জমি দখল, এলাকাবাসীর ওপর অত্যাচার-নির্যাতনসহ হামলা মামলা দিয়ে ভয়ভীতি দেখাতো কুখ্যাত এনটিএমসি’র সাবেক মহাপরিচালক ও আয়নাঘরের কারিগর অব্যাহতিপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান। তার বিরোদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।

 

 

 

স্থানীয়রা বলছেন, ঝালকঠিতে শত শত বিঘা জমি পাওয়া গেছে জিয়ার মালিকানায়। এসব জমিতে গড়ে তুলেছেন মাছের প্রজেক্ট, গরুর খামার আর বাংলো। গ্রামবাসীর কাছ থেকে জোরপূর্বক এসব জমি ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগও রয়েছে। জমি না দিলে নেমে আসতো অকথ্য নির্যাতন- হয়রানি হামলা ও মামলা। তার গ্রেফতারের পর একে একে মুখ খুলছেন ভুক্তভোগীরা।

 

 

 

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গ্রেফতার হন ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি) এর মহাপরিচালক সাবেক মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান। তার বিরুদ্ধে খুন, গুমসহ নানা অপরাধের অভিযোগ রয়েছে।

 

 

 

গ্রেফতারের পর একে একে সামনে বেরিয়ে আসছে জিয়ার অপরাধের জগতের মূল কাহিনী । অভিযোগ উঠেছে, নামে বেনামে বিপুল জমি দখল করেছেন নিজ গ্রাম ঝালকাঠি সদরের প্রতাপপুরে। জিয়া স্থানীয়দের কাছে তপু মিয়া নামেই বেশি পরিচিত।

 

 

 

সে গ্রামে অন্যের জমি জবরদখল আর নামমাত্র মূল্যে লিখিয়ে নিয়ে করেছেন মাছের প্রজেক্ট, গরুর খামার, নার্সারি আর বিলাসবহুল বাংলো। একজন ভুক্তভোগী বলেন, রাতে এসে মারধর করেছে। পরে মাথায় পিস্তল ধরে হুমকি দিয়ে আমাদের জমি নিজের নামে করে নিয়েছে।

 

 

আরেকজন বলেন, র‌্যাব দিয়ে জমি দখল করতো জিয়াউল। আমাদের জমির ভেতরে দিয়ে জোর করে পুকুর করে নিয়েছে। তাদের সাথে তো পারা যায় না। ভয়েই অনেকে জমি দিয়ে দিয়েছে। জমি না দিলে নির্যাতন করা হতো।

 

 

 

স্থানীয়রা বলছে, ২০ বিঘা এগ্রো ফার্মসহ ইউনিয়নের বংকুরা ও কতুবকাঠি মৌজায় অন্তত ২শ বিঘা জমি রয়েছে তার। এসব সম্পদ দেখাশোনা করতো জিয়ার অনুগতরা। প্রজেক্টের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয় আশপাশের জমির মালিকরা। এ নিয়ে প্রতিবাদ করতে গেলে গ্রামবাসীর ওপর নেমে আসতো নির্যাতন।

 

 

 

জিয়া গ্রেফতারের পর থেকে পলাতক তার সাঙ্গপাঙ্গরা। তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি সচেতন নাগরিকদের। ঝালকাঠি সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) সভাপতি সত্য গোপাল সেনগুপ্ত বলেন, তার অনিয়মের মাধ্যমে অর্জিত সম্পত্তি দুদক বাজেয়াপ্ত করুক কিংবা আদালতের মাধ্যমে এটির ফয়সালা হোক।

 

 

 

গুম আর আয়নাঘরের প্রধান কারিগর জিয়া এলাকায় গড়ে তুলেছিলে সাম্রাজ্য। প্রতিষ্ঠা করেছেন মাদরাসা, ফাউন্ডেশনসহ বেশ কিছু ধর্মীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান। তবে এখন সামনে আসছে দানবীরের আড়ালে থাকা তার হিংস্র চেহারা। একে একে বেরিয়ে আসছে তার বিরুদ্ধে অপরাধ জগতের ইতিহাস।

 

 

 

0Shares