শনিবার(৭সেপ্টেম্বর) বিকেলে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার নূরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।আটককৃত সেনিলা আক্তার ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার মাইজগাঁও ইউনিয়নের সংরক্ষিত(৪, ৫ ও ৬) নং ওয়ার্ডের সদস্য ও নূরপুর গ্রামের সাবুল আহমদের স্ত্রী।পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ঘিলাছড়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ থেকে সরকারি বরাদ্দের ওষুধ অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার সেনাবাহিনী ও পুলিশ নূরপুর গ্রামে অভিযান চালায়। এসময় ইউপি সদস্য সেলিনার ঘরের ভেতরে খাটের নিচ থেকে বিপুল পরিমাণ সরকারি ওষুধ জব্দ করা হয়।
ওষুধগুলোর প্যাকেটের গায়ে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের সম্পত্তি বিক্রয়ের জন্য নহে এমন কথা উল্লেখ করা রয়েছে। এ ঘটনায় সেলিনা আক্তারকে আটক করা হয়।
জানা যায়, জব্দকৃত ওষুধ ঘিলাছড়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা পাক আক্তার চৌধুরী বিভিন্ন সময় তার স্বাস্থ্য কেন্দ্রে না নিয়ে সেলিনা আক্তারের বাসায় রেখে যান। একই স্থান থেকে মাইজগাঁও পরিবার কল্যাণ সহকারী শিল্পী রানী বিশ্বাসের রাখা ওষুধ সামগ্রীও ওই বসতঘরের খাটের নিচ থেকে জব্দ করা হয়।
এব্যাপারে ঘিলাছড়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা পাক আক্তার চৌধুরী জানান, গত বৃহস্পতিবার রেখে গিয়েছিলাম রোববার নিয়ে যাবো বলে। হঠাৎ হঠাৎ অসুবিধা হলে এখানে ওষুধ রেখে যাই।
ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা.সুর্বণা রায় তুলি বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ওষুধ সাপ্লাই দেয়ার পর বাড়িতে রাখার নিয়ম নেই। স্বাস্থ কেন্দ্রের ওষুধপত্র স্বাস্থ কেন্দ্রে রাখার নিয়ম। আর পরিবার কল্যাণ সহকারীর ওষুধ তার নিজ দায়িত্বে রাখা উচিত। কিন্তু তারা কেন এখানে রাখলেন সেটা বলতে পারবো না।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় কি ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হবে সেটা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষে বলতে পারবেন। বিষয়টি আমি আমার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষে ইতোমধ্যে জানিয়েছি।এবিষয়ে ফেঞ্চুগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) অসিত রঞ্জন দেব বলেন, সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে ওষুধগুলো জব্দ করা হয়েছে। এসময় সেলিনা আক্তারকে সেগুলোর উৎস জানতে চাইলে সন্তুষজনক জবাব দেননি। তিনি একেক সময় একেক কথা বলেছেন। পরে ওষুধগুলোর জব্দ তালিকা প্রস্তুত করে থানায় নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় সেলিনা আক্তারকে আটক দেখানো হয়েছে। মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।