প্রকাশিত: ১০:০৩ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৫, ২০২৪
ডায়াল সিলেট ডেস্ক :: অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সংলাপে আবারও নির্বাচনের রোডম্যাপ চেয়েছে বিএনপি। আজ এক ঘণ্টার সংলাপ শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেছেন, নির্বাচন করা অন্তর্বর্তী সরকারের এক নম্বর অগ্রাধিকার, এটি প্রধান উপদেষ্টা তাঁদের জানিয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টা সঙ্গে সংলাপের পর আজ শনিবার বিকেল চারটার দিকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিএনপির মহাসচিব। এর আগে বেলা আড়াইটার দিকে ওই সংলাপে অংশ নিতে যমুনায় যায় বিএনপির ছয় সদস্যের প্রতিনিধিদল। মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের বলেন, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তাঁরা এক ঘণ্টা সময় ধরে আলোচনা করেন। প্রধান আলোচনার বিযয় ছিল নির্বাচন–সংক্রান্ত এবং নির্বাচনব্যবস্থার সংস্কার ও কমিশন নিয়ে।
সংলাপে আবারও নির্বাচনের রোডম্যাপের দাবি তুলে ধরার কথা উল্লেখ করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘আমরা একটা রোডম্যাপ দিতে বলেছি। কবে নির্বাচন হবে, সে বিষয়ে একটা রোডম্যাপ দিতে বলেছি।’
জাতীয় পরিচয়পত্র স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হাতে দেওয়ার যে আইন করা হয়েছে বিগত সরকারের সময়ে, সেটিও বাতিল চেয়েছে বিএনপি। মির্জা ফখরুল বলেন, বিতর্কিত কোনো ব্যক্তি যাতে নির্বাচন সংস্কার কমিটিতে না থাকে, সেটিও তাঁরা চেয়েছেন। ফ্যাসিবাদের সময় গঠিত সব ইউনিয়ন পরিষদ বাতিলের দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা।
বিএনপির মহাসচিব জানান, ২০১৪ সাল থেকে পরপর তিনটি বিতর্কিত ও ভুয়া নির্বাচন করেছে যেসব নির্বাচন কমিশন, সেই কমিশনগুলোর প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যদের আইনের আওতায় আনার কথা বলেছেন তাঁরা।
সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হককেও আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে বিএনপি। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা মনে করি, বিচারপতি খায়রুল হক নির্বাচনব্যবস্থাকে ধ্বংস করার মূল হোতা। কারণ, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায় দিয়ে এই বিচারপতি নির্বাচনব্যবস্থাকে ধ্বংসের মূল ভূমিকা পালন করেন। তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছি রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধে।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে অনেকে দোসর হয়ে কাজ করেছে এবং লুটপাট ও মানুষের ওপর নির্যাতনে সহায়তা করেছে। এ ছাড়া গুম–খুন ও গণহত্যায় সহায়তাকারীদের অনেকেই এখনো নিজ নিজ জায়গায় বহাল আছে, অবিলম্বে তাদের সরিয়ে নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের সেসব পদে নিয়োগ করার দাবিও তাঁরা জানিয়েছেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জেলা প্রশাসকদের নিয়ে পত্রপত্রিকায় লেখালেখি হয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তাদের নিয়োগ বাতিল করতে বলেছি। চুক্তিভিত্তিক কিছু নিয়োগ বাতিলের প্রস্তাব দিয়েছি।’ তিনি বলেন, ‘বিশেষ করে অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যেও দুই-একজন আছেন যাঁরা এই গণ-অভ্যুত্থানের বিপ্লবের যে স্পিরিট, সেটাকে ব্যাহত করছেন, তাঁদের সরানোর কথা বলেছি।’
বিচার বিভাগের প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, বিচার বিভাগের হাইকোর্ট বিভাগে এখনো পরিবর্তন হয়নি, বেশির ভাগ নিয়োগ ছিল দলীয় ভিত্তিতে। এদের বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলেছি। অতি দ্রুত পিপি ও জিপি নতুন নিয়োগের কথা বলেছি। তিনি বলেন, ‘যাদের সুনির্দিষ্ট অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে তাদের জামিন দেওয়া হচ্ছে। এটা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। বিষয়টা আমরা দেখার জন্য বলেছি। ২০০৭ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের আমলে দায়ের করা সব মিথ্যা মামলা গায়েবি, ভুয়া সাজানো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মামলা প্রত্যাহারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছি।’
Address: Kaniz Plaza, Zindabazar, Sylhet
United Kingdom, London Mobile :+447438548379
dialsylhetnews@gmail.com
Design and developed by AshrafTech