প্রকাশিত: ১২:৩৭ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৭, ২০২৪
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :নতুন প্রধানমন্ত্রীর খোঁজে ভোট দিচ্ছে জাপানের জনগণ। দেশটির ক্ষমতাসীন দলের কয়েক বছরের অস্থিরতার পর নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে রোববার ভোট দিতে শুরু করেছেন ভোটাররা। শিগেরু ইশিবা আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) নেতা নির্বাচিত হওয়ার তিন দিন পর এই নির্বাচনের ঘোষণা দেয়া হয়। মতামত জরিপে দেখা যাচ্ছে, এবারের নির্বাচনে ক্ষমতাসীন জোট সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ব্যর্থ হতে পারে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
এতে বলা হয়, শিগেরু ইশিবা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার আগেই জাপানে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের ঘোষণা এসেছে। রাজনৈতিক তহবিল সংগ্রহে দুর্নীতির পরিপ্রেক্ষিতে এলডিপি’র অনুমোদন রেটিং ২০ শতাংশের নিচে দেখেও বছরের শুরুতে এ বছর প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। রেটিং কম থাকলেও বিরোধী দলের জন্য এখনও শক্ত প্রতিপক্ষ হিসেবে মাঠে রয়েছে এলডিপি।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, বিরোধী দলগুলো ক্ষমতাসীন দলের খারাপ পরিস্থিতির মধ্যেও নিজেদের ঐক্যবদ্ধ করতে ব্যর্থ হয়েছে। তারা এখনও ভোটারদের বোঝাতে পারেনি যে, তারা ক্ষমতাসীন দলের বিকল্প হিসেবে কার্যকর হতে পারে।
সংসদ ভেঙে দেওয়ার আগে প্রধান বিরোধী দলটির অনুমোদন রেটিং ছিল মাত্র ৬ দশমিক ৬ শতাংশ। কেয়ার-হোম সেক্টরে কাজ করেন এমন একজন মিউকি ফুজিসাকি। দীর্ঘদিনের এই এলডিটি সমর্থক বিবিসি’কে বলেছেন, অন্যান্য দলগুলোকে বেছে নেওয়া বেশ কঠিন, আমি মনে করি মানুষ তাদের আগ্রহ হারাচ্ছে। ভোট শুরুর আগে তিনি আরও বলেন, এলডিপি’র কথিত দুর্নীতি নিয়ে সমস্যা রয়েছে, তবে বিরোধী দলগুলো এর বাইরে দাঁড়াতে পারেনি। কেননা তারা শুধু অভিযোগই দাঁড় করিয়েছে, এক্ষেত্রে বিরোধী দলগুলোর করণীয় কী হতে পারে তা তারা স্পষ্ট করতে পারেনি।
গত আগস্টে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা পদত্যাগ করার পর তার উত্তরসূরী হিসেবে দায়িত্বে আসেন শিগেরু ইশিবা। তিনি এসেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ঘোষণা দেন।
নির্বাচন ঘোষণার পদক্ষেপ এমন এক সময়ে এল যখন এলডিপি জনগণের মধ্যে তার ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনতে মরিয়া হয়ে কাজ করছে। ইশিবা জাপানের একজন দীর্ঘ সয়ের রাজনীতিবিদ। যিনি পূর্বে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। জনগণের রায়েই তিনি সংসদ সদস্য হয়েছিলেন।১৯৫৫ সাল থেকে প্রায় ধারাবাহিকভাবে জাপানের ক্ষমতায় রয়েছে এলডিটি। এবার দলটি জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধার করতে পারবে কিনা তা নিয়ে রয়েছে সংশয়। দৈনিক ইয়োমমিউরি শিমবুনের করা গত শুক্রবারের জরিপে দেখা গেছে, পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে এলডিপি ও তার জোটসঙ্গী কোমেইতো ব্যর্থ হবে। সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ২৩৩ আসন পেতে হবে এলডিপিকে। ২৩৩ আসন না পেলে সরকার গড়তে এলডিপিকে জোটসঙ্গী খুঁজতে হবে বা সংখ্যালঘু সরকার চালাতে হবে।
Address: Kaniz Plaza, Zindabazar, Sylhet
United Kingdom, London Mobile :+447438548379
dialsylhetnews@gmail.com
Design and developed by AshrafTech