প্রকাশিত: ৬:১৯ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১, ২০২৪
ডায়ালসিলেট ডেস্ক :শেখ হাসিনা পালানোর পর মানুষ এখন ফ্যাসিস্ট ব্যবস্থার বিলোপ চায় বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। শুক্রবার শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির তৃতীয় কেন্দ্রীয় কাউন্সিলে তিনি এ মন্তব্য করেন।
পতিত শেখ হাসিনার সরকারের ঘটনা প্রবাহ উল্লেখ করে জোনায়েদ সাকি বলেন, শেখ হাসিনা পালানোর পর মানুষ একটা বিষয়ে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ, একাত্তরের পর যা হয় নাই, নব্বইয়ের পর যা হয় নাই, সেটি এবার না হলে তারা মানবে না। ফ্যাসিস্ট ব্যবস্থার বিলোপ চায় সবাই। সেই জায়গায় থেকে আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশে আছি।
তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন হয়েছে, মানুষ এখন ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ব্যবস্থার বিদায় চায়। অর্থনীতিতে ন্যায়বিচার নিশ্চিত না করে কোনো গণতন্ত্র চলতে পারে না। শ্রমজীবী মানষের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। কল-কারখানার মালিকরা বেতন দিতে না পারলে সরকারকে শ্রমিকের মজুরি আদায় করতে দিতে হবে। এবিষয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, সোচ্চার হতে হবে।সাকি বলেন, গণতন্ত্রের জন্য অবশ্যই সুষ্ঠু নির্বাচন প্রয়োজন। কিন্তু সেটি নিশ্চিত করতে হলে আগে রাজনৈতিক বন্দোবস্ত নিশ্চিত করতে হবে। সেখানে গণতান্ত্রিক শ্রম আইন থাকবে। মালিক যদি তার ব্যর্থতার জন্য বেতন দিতে না পারে তাহলে সেই দায় সরকারকে দিতে হবে।
তৃতীয় কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের এই সভায় হাজিরা বোনাস, টিফিন ও নাইট বিল, সব পোশাকশিল্প কারখানায় শ্রমিকের বিদ্যমান হাজিরা বোনাস হিসেবে অতিরিক্ত ২২৫ টাকা, বিদ্যমান টিফিন বিলের সঙ্গে ১০ টাকা এবং বিদ্যমান নাইট বিল ১০ টাকা বৃদ্ধি করে ন্যূনতম ১০০ টাকা করাসহ ১৮ দফা দাবি উত্থাপন করা হয়।
এতে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নওরিন রশিদ, আইনজীবী ব্যরিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ, নারী সংহতি আন্দোলনের সভাপতি শ্যামলী শীল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
Address: Kaniz Plaza, Zindabazar, Sylhet
United Kingdom, London Mobile :+447438548379
dialsylhetnews@gmail.com
Design and developed by AshrafTech