এদিন মতিনকে ঢাকার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কেরাণীগঞ্জ মডেল থানার ইন্সপেক্টর ইলিয়াস হোসেন তাকে সাত দিনের রিমান্ড নিতে আবেদন করেন। আসামিপক্ষ রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে সোমবার ভোরে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার শাক্তা ইউনিয়নের চর ওয়াশপুর গ্রামের একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে পুলিশ। এরপর কেরানীগঞ্জ থানার রিয়াজ হত্যা মামলায় তাকে সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১৯শে জুলাই কেরানীগঞ্জ মডেল থানার শাক্তা ইউনিয়নের আরশিনগর এলাকায় বৈষম্য বিরোধীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে অংশ নেন ইস্পাহানি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রিয়াজ হোসেন (২১)। ওই সময় এজাহারনামীয় আসামিদের ছোঁড়া গুলি তার মাথার পিছনে লাগে। সঙ্গে সঙ্গেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। ওইদিন সন্ধ্যা ৬টায় সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় নিহতের চাচা রমজান আলী শওকত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩১০ জনের নামে মামলা দায়ের করেন।