দেশে স্বৈরাচারী ব্যবস্থার যেনো পুনরাবৃত্তি না ঘটে

প্রকাশিত: ১০:০৪ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৪, ২০২৪

দেশে স্বৈরাচারী ব্যবস্থার যেনো পুনরাবৃত্তি না ঘটে

ডায়ালসিলেট ডেস্ক :বর্তমানে দেশে আলোচিত প্রায় সব সংস্কার প্রস্তাবই বিএনপির ৩১ দফায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, আমি সংস্কারের উদ্দেশ্য বলতে সেটিই বুঝি, যে সংস্কারের মাধ্যমে সংবিধানের কয়েকটি বাক্য নয়, বরং মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে। অর্থাৎ একজন মানুষের রোজগারের ব্যবস্থা হবে, তার ও পরিবারের আর্থ-সামাজিক নিরাপত্তা ও সঞ্চয় নিশ্চিত হবে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানে লেকশোর হোটেল ৩১ দফা রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখা ও নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্যে দিয়ে সেমিনার শুরু হয়। এরপরে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনে ৩১ দফা দুই পর্বে প্রদর্শন করা হয়। প্রথম পর্ব প্রদর্শন করেন ডা. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল এবং দ্বিতীয় পর্ব প্রদর্শন করেন ড. মাহাদী আমিন। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাতিসংঘ, ভারত, চীন রাশিয়া, জাপান অস্ট্রেলিয়া, সৌদি আরব, নরওয়ে, পাকিস্তানসহ ৩৮ দেশের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।সেমিনারে নাগরিক ও রাজনীতিবিদরা বলেন, ৩১ দফার প্রতিটি ধারার পক্ষে এবং বিপক্ষে ব্যাপক আলোচনা হওয়া দরকার। এজন্য প্রত্যেকটা দফা কেন্দ্রিক তর্ক জারি রাখা দরকার। আর রাজনৈতিক দলগুলোর সংস্কার এই দফাতে সম্পৃক্ত হওয়া দরকার।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আমি সংস্কার বলতে সেটিই বুঝি, যা কর্মসংস্থানের মাধ্যমে প্রতিটি নারী ও পুরুষের বেকারত্ব সমস্যার সমাধান করবে। যে সংস্কার নারীদের সম্মান, স্বাধীনতা ও ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করবে। যে সংস্কার সকল মানুষের জীবনের সুরক্ষা নিশ্চিত করবে। যে সংস্কার দেশের সন্তানদের আধুনিক শিক্ষা ও নৈতিক মূল্যবোধ গঠন করবে। যে সংস্কার মানুষকে কাক্সিক্ষত স্বাস্থ্যসেবা দেবে। যে সংস্কার বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম স্থিতিশীল রাখবে। আমি সংস্কার বলতে সেটিই বুঝি, যা কৃষক, শ্রমিক এবং সকল কর্মজীবী মানুষের ন্যায্য ও প্রাপ্য মজুরি নিশ্চিত করবে।

তিনি বলেন, আজকে আমরা যারা এখানে উপস্থিত রয়েছি, আমাদের রাজনৈতিক দর্শনে ভিন্নতা আছে, সেটিই স্বাভাবিক। তবে আমি বিশ্বাস করি, ভিন্ন-ভিন্ন রাজনৈতিক ধারার মাঝেও বৃহত্তর পরিসরে আমাদের সবার মাঝে একটি বিষয়ে আদর্শিক ঐকমত্য রয়েছে। আর সেই বিষয়টি হলো, একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা। আমরা সবাই এমন দেশ গড়তে চাই, যেখানে আর কখনো ফ্যাসিবাদ বা স্বৈরাচার মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে না। আমরা সবাই একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ চাই, যেখানে জনগণের অধিকার ও স্বাধীনতা কেউ কেড়ে নেবে না। আমরা সবাই একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত বাংলাদেশ চাই, যেখানে গণআকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটবে, নির্বাচিত ও জবাবদিহিমূলক সরকার নিশ্চিত করবে জনগণের মালিকানা ও অংশীদারিত্ব।

0Shares

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ