প্রকাশিত: ১১:৩৪ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৬, ২০২৫
ডায়াল সিলেট ডেস্ক :: ভারত সফরে এসেছেন মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা (ডিএনআই) বিভাগের প্রধান তুলসি গ্যাবার্ড। রোববার তিনি দিল্লিতে এসে নামেন। আজই বিশেষ বৈঠকে অংশ নেওয়ার কথা তার। এতে অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি, নিউজিল্যান্ড ও আরও কয়েকটি দেশের গোয়েন্দা প্রধানেরা থাকবেন। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের কয়েকটি দেশে সফরের অংশ হিসেবে তুলসি গ্যাবার্ড ভারতে এসেছেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই সফরে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গেও তার আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। তুলসির সফরে ভারতের গোয়েন্দা কর্তারা বাংলাদেশ ও পাকিস্তান বিষয়ে মার্কিন গোয়েন্দা প্রধানকে অবহিত করবেন বলে জানা গেছে।
তুলসি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অত্যন্ত আস্থাভাজন। গত মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের দিন সামরিক কর্মকর্তা থেকে গোয়েন্দা প্রধান হিসেবে নিয়োগ পান তিনি। মোদিই ছিলেন তার প্রথম বিদেশি অতিথি। প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে তার আলোচনাতেও বাংলাদেশ ও পাকিস্তান নিয়ে কথা হয়েছিল।
এবার ভারত সফরে মার্কিন এই গোয়েন্দা প্রধান প্রথম দিনেই অংশ নিচ্ছেন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধানদের একটি হাই-প্রোফাইল সম্মেলন বা সিকিওরিটি কনফারেন্সে, যেটির সভাপতিত্ব করছেন ভারতের অজিত ডোভাল। এই সম্মেলনে ‘কোয়াড’ জোটের চার শরিকেরই (অস্ট্রেলিয়া, ভারত, আমেরিকা ও জাপান) গোয়েন্দা প্রধান বা ইনটেলিজেন্স চিফরা উপস্থিত থাকবেন। এ ছাড়া থাকবেন বিশ্বের সবচেয়ে ধনী সাতটি দেশের জোট জি-সেভেনের অন্য প্রতিনিধিরাও।
গত ৫ আগস্টের পর ভারত-মার্কিন সবোর্চ্চ স্তরে টেলিফোনে বা মুখোমুখি বৈঠকে যত আলোচনা হয়েছে– বাংলাদেশ প্রসঙ্গ তাতে ছায়াপাত করেছে অনিবার্যভাবে। অজিত ডোভাল ও তুলসী গ্যাবার্ডের মধ্যে আলোচনাতেও তার কোনও ব্যতিক্রম হবে না নিশ্চিতভাবেই।
এর আগে নরেন্দ্র মোদি যখন টেলিফোনে বিগত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন, তখন ভারতের পক্ষ থেকে সে দেশে কথিত হিন্দু নির্যাতনের প্রসঙ্গ তোলা হয়েছে। এরপর যখন গত মাসে মোদি হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করেন, বাংলাদেশ নিয়ে সেখানেও দুজনের মধ্যে কথা হয়েছে।
তা ছাড়া ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও তার মার্কিন কাউন্টারপার্ট মার্কো রুবিও কিংবা মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক উলজের সঙ্গে বৈঠকেও একাধিকবার বাংলাদেশ প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছেন।
ঢাকা ও দিল্লির বর্তমান সরকারের মধ্যে এই কথিত হিন্দু নির্যাতনের ইস্যু একটি অস্বস্তিকর প্রসঙ্গ হিসেবে দেখা দিয়েছে, তা অস্বীকার করার কোনও উপায় নেই। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার বলছে, ভারত সরকার ও ভারতীয় মিডিয়া ক্রমাগত এ বিষয়ে অতিরঞ্জিত ‘প্রোপাগান্ডা’ চালিয়ে যাচ্ছে, বাস্তবের সঙ্গে যার কোনও মিল নেই। যেসব হামলার কথা বলা হচ্ছে, সেগুলোর প্রায় সবই যে চরিত্রে ‘রাজনৈতিক’, সেটিও তারা মনে করিয়ে দিচ্ছেন।
এই সম্মেলনের আলোচ্যসূচি নিয়ে কঠোর গোপনীয়তা বজায় রাখা হচ্ছে সঙ্গত কারণেই। তবে মোটামুটিভাবে যা জানা যাচ্ছে তা হলো— বিশ্বের এই সব দেশ কীভাবে তাদের ‘ইন্টেলিজেন্স শেয়ারিং মেকানিজম’ বা গোয়েন্দা তথ্য আদানপ্রদানের পদ্ধতিকে আরও উন্নত ও আধুনিক করে তুলতে পারে, সেটা নিয়েই প্রধানত কথা বলবেন নানা দেশের গোয়েন্দা প্রধানরা।
Address: Kaniz Plaza, Zindabazar, Sylhet
United Kingdom, London Mobile :+447438548379
dialsylhetnews@gmail.com
Design and developed by AshrafTech