ডায়াল সিলেট ডেস্ক :: রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শুরু হওয়া জামায়াতের জাতীয় সমাবেশে যোগ দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। শনিবার (১৯ জুলাই) দুপুর তিনটার দিকে সমাবেশে যোগ দেন তিনি।

 

 

সমাবেশে যোগ দিয়েছেন— খেলাফত মজলিশের মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদের, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। এরই মধ্যে বক্তব্য দিয়েছেন জুলাই আন্দোলনে নিহত আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী, ইমাম হোসেনের ভাই রবিউল ইসলাম, শাহরিয়ার হাসান আলভীর বাবা আবুল হাসান, বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের পিতা বরকত উল্লাহ, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহসভাপতি ও মুখপাত্র রাশেদ প্রধান, হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক প্রমুখ।

 

 

এর আগে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতি চালু, জুলাই গণহত্যার দৃশ্যমান বিচার এবং নির্বাচনের আগে সব দলের জন্য সমতাভিত্তিক রাজনৈতিক পরিবেশ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) নিশ্চিত করাসহ সাত দফা দাবিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশ শুরু হয়।

 

শনিবার দুপুর ২টায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এ সমাবেশের সূচনা হয়। এর আগে, সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সমাবেশের প্রথম পর্ব শুরু হয়। সাইফুল্লাহ মানসুরের উপস্থাপনায় সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠী এই পর্যায়ে সংগীত পরিবেশন করে।

 

 

জামায়াতে ইসলামীর এ সমাবেশে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী ও সমর্থকের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। সমাবেশ শুরুর আগেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যান কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। উদ্যানের বাইরেও হাজার হাজার মানুষ অবস্থান নেন। অনেকে দলীয় প্রতীক ‘দাঁড়িপাল্লা’ এবং দলীয় লোগোযুক্ত পোশাক পরিধান করে সমাবেশে অংশ নেন।

 

জামায়াতে ইসলামীর সমাবেশে উত্থাপিত সাত দফা দাবির মধ্যে রয়েছে— অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা, সব গণহত্যার বিচার সম্পন্ন করা, প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার বাস্তবায়ন, ‘জুলাই সনদ’ ও ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন, জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের পরিবারের পুনর্বাসন নিশ্চিত করা, সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান, এক কোটির বেশি প্রবাসী বাংলাদেশির ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ সৃষ্টি।

 

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর এই প্রথম জামায়াতে ইসলামী এককভাবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় সমাবেশের আয়োজন করল।

 

সমাবেশের যৌথ সঞ্চালনায় রয়েছেন—জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জোবায়ের, প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদ এবং উত্তরের সেক্রেটারি রেজাউল করিম।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *