ডায়ালসিলেট ডেস্ক::সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার হবিপুর ইউনিয়নের হিন্দু অধ্যুষিত নোয়াগাঁও গ্রামে হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা মামুনুল হকের সমর্থকদের হামলা লুটপাট ও ভাংচুরের ঘটনায় অন্তত ২৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) গভীর রাতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। তবে শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক জানিয়েছেন, ২৪ জনকে আটক করা হয়েছে। আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আটক করার অভিযান চলছে। অভিযান পরিচালনার স্বার্থে আটকদের নাম প্রকাশ করেননি তিনি। এর আগে সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) শাল্লা থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। একটি মামলার বাদী শাল্লা থানার এসআই আব্দুল করিম। অন্য মামলার বাদী স্থানীয় হবিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নোয়াগাঁও গ্রামের বাসিন্দা বিবেকানন্দ মজুমদার বকুল। মামলায় দিরাই থানার সরমঙ্গল ইউনিয়নের চন্দ্রপুর ও নাচনী এবং শাল্লা থানার হবিবপুর কাশিপুর গ্রামের ১৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। প্রধান আসামি করা হয়ছে, ঘটনার উস্কানীদাতা নাচনী গ্রামের বাসিন্দা সরমঙ্গল ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার স্বাধীন মিয়াকে। পুলিশ জানায়, গ্রামবাসীর পক্ষে দায়ের করা মামলার বাদী হয়েছেন, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান গ্রামের বাসিন্দা বিবেকানন্দ মজুমদার বকুল। এই মামলায় ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে ও ১৫০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতনামা ১৫০০ জন আসামির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান। শাল্লা থানার ওসি নাজমুল হক জানান, পুলিশ বাদী হয়ে দায়ের করা মামলার বাদী সাবইন্সপেক্টর আব্দুল করিম। এই মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে এবং গ্রামবাসীর পক্ষে আরেকটি মামলায় ৫০ জনের নাম উল্লেখ ও অনেককে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে র‍্যাবের মহাপরিচালক শাল্লার সন্তান চৌধুরী আব্দুল্লাহ্ আল মামুন ক্ষতিগ্রস্ত নোয়াগাঁও গ্রাম পরিদর্শন ও প্রেসব্রিফিং করে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের কঠোর শান্তি ও গ্রামবাসীকে নিরাপদে বসবাসের আশ্বাস দিয়েছেন। তার নির্দেশে গ্রামে অস্থায়ী র‍্যাব ও পুলিশ ক্যাম্প বসানো হয়েছে।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *