ডায়ালসিলেট ডেস্ক::ফেসবুক পোস্টের জেরে শাল্লায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ঘরবাড়িতে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনার জন্য যে দুই ব্যক্তিকে বেশি দায়ী করা হচ্ছে তাদের একজন ঝুমন দাশ আপন ও অন্যজন শহিদুল ইসলাম স্বাধীন। ঝুমন ফেসবুকে কুরুচিপূর্ণ স্ট্যাটাস দিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টির জন্য আর স্বাধীন হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুরে নেতৃত্ব দিয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

বিপরীত মেরুতে থাকা বড় দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী ও বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার ‘পরিচয় প্রকাশ’-এর পর তাদের দুজনকেই নিজেদের কর্মী হিসেবে অস্বীকার করছে দুটি দলই।

নোয়াগাঁওয়ে হামলার হোতা এবং ওই ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার প্রধান আসামি স্বাধীন মেম্বার স্থানীয় যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ‘পরিচয় প্রকাশের’ পর কালবিলম্ব না করেই তাকে নিজেদের কর্মী হিসেবে অস্বীকার করে সংবাদ সম্মেলন করে জেলা যুবলীগ।

স্বাধীন দলের কেউ নন বলে দাবি করেন জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক খন্দকার মঞ্জুর আহমদ বলেন, ‘২০০৭ সালের পর থেকে দিরাই ও শাল্লা উপজেলায় যুবলীগের কোনো কমিটি নেই। সেখানে স্বাধীন মেম্বার কী করে ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি হতে পারেন। একটি সাম্প্রদায়িক ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার অপকৌশল হিসেবে এমন বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছে  বিরোধীপক্ষ।’

যুবলীগ পরিচয়ধারী স্বাধীন মেম্বারের মতো ঝুমন দাশকেও নিজেদের দলের লোক হিসেবে অস্বীকার করেন বিএনপি নেতারা।

জানা গেছে, যার হাতকে শক্তিশালী করতে অতীতে ছাত্রদলের রাজনীতি করতেন ঝুমন, জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ও সাবেক এমপি নাসির উদ্দিন চৌধুরী তাকে বিএনপির ‘তাকে আওয়ামী লীগের লোক’ বলে আখ্যায়িত করেন। তিনি বলেন, “সে কোনো সময় বিএনপি করত সেটা আমি জানি না। তবে এটা জানি সে আওয়ামী লীগ করে।’

দিরাই উপজেলা বিএনপির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক একে কুদরত পাশা বলেন, ‘ঝুমন দাশ এক সময় ছাত্রদল করত এটা সঠিক এবং সে শাল্লা উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকও ছিল। কিন্তু এখন সে আওয়ামী লীগ করে।’

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *