ডায়ালসিলেট ডেস্ক::

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে মাদরাসাছাত্রী সানজিদা আক্তার হত্যাকাণ্ডের আসামি নিহতের চাচি এখনও গ্রেপ্তার হননি। তবে পুলিশ জানিয়েছে, তাকে ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, উপজেলার সৈয়দপুর-শাহারপাড়া ইউনিয়নের সৈয়দপুর গোয়ালগাঁও গ্রামের সয়ফুল ইসলামের চার ভাইয়ের মধ্যে দ্বিতীয় ভাই লুৎফুর রহমান যুক্তরাজ্যে বসবাস করেন। তিনি নিঃসন্তান হওয়ায় বড় ভাই সয়ফুল ইসলামের মেয়ে সানজিদা বেগমকে (১৬) নিজের মেয়ের মতো স্নেহ করেন। তিনি সংসারের ভরণ-পোষণের টাকাও সানজিদার কাছে পাঠাতেন। বিষয়টি সহ্য করতে পারতেন না ছোটভাই রবিউল ইসলাম। কিছুদিন আগে এসব বিষয় নিয়ে পারিবারিক বিরোধের জের ধরে স্ত্রী ও তিন মাসের কন্যাসন্তানকে নিয়ে রবিউল নিজের শ্বশুরবাড়িতে চলে যান। গত ৯ জুন তিনি একা বাড়ি ফিরে এসে রাতের খাবার খেয়ে ভাতিজি সানজিদার শয়নকক্ষের পাশের ঘরে ঘুমান। ভোর ৪টার দিকে সানজিদার কক্ষে ঢুকে তাকে গলা টিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মুখে একটি বালিশ রেখে পালিয়ে যান রবিউল।

হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গত ১০ জুন নিহতের বড়ভাই হাম্মান আহমদ বাদী হয়ে চাচা রবিউলকে প্রধান আসামি ও চাচি সুহি আক্তারকে ২য় আসামি করে জগন্নাথপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। গত ১১ জুন র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-৯ এর সুনামগঞ্জের একটি দল হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলা থেকে মামলার প্রধান আসামি রবিউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারের পর রবিউল হত্যাকাণ্ডের কথা র‌্যাবের কাছে স্বীকার করেন। তিনি র‌্যাবকে জানান, যুক্তরাজ্য প্রবাসী ভাই লুৎফুর রহমান তার ভাইয়ের মেয়ে সানজিদা বেগমকে খুব স্নেহ করতেন। সানজিদাকে হত্যা না করলে তার (রবিউল) মেয়ে প্রবাসী ভাইয়ের স্নেহ-মমতা থেকে বঞ্চিত হবে। তাই তাকে হত্যা করা হয়।

রবিউল বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। তবে চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের অপর আসামি চাচি সুহি আক্তারকে ঘটনার ৮ দিন অতিবাহিত হলেও বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) পর্যন্ত গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জগন্নাথপুর থানার উপ-পরির্দশক (এসআই) অনিক দেব বলেন, হত্যা মামলার প্রধান আসামি বর্তমানে কারাগারে আছেন। মামলার অপর আসামিকে গ্রেপ্তারে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এম/

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *