মঞ্জু চৌধুরী মৌলভীবাজার :: প্রবাসী অধ্যুষিত মৌলভীবাজার জেলায় কয়েক হাজার চামড়া নষ্ট হয়েছে। প্রচন্ড গরম ও চামড়া লবন সংকটের কারনে কুরবানির পশুর হাজার খানেক চামড়া নদীতে ফেলে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। যার ফলে এবারে ও কয়েক লাখ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে এই চামড়া খাতে।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!মৌলভীবাজার সদর উপজেলার প্রায় ২শ বছর পুরাতন বৃহত্তর সিলেট বিভাগের চামড়ার বড় ব্যবসা কেন্দ্র সদর উপজেলার বালিকান্দি। কোরবানির চামড়ার প্রাথমিক প্রক্রিয়ার মজুরী ও লবন দিয়ে যে টাকা ব্যয় হয় তাতে লোক সানের আশংখায় কাঁচা চামড়া ক্রয় করতে আগ্রহী হননি তারা।

জেলা প্রশাসন কুরবানির চামড় সংগ্রহে ব্যবসায়ীদের নিয়ে একাধিক বৈঠক করে নানা ভাবে উৎসাহ দেন। সেই সাথে তাদের সংগ্রহ করা চামড়া ন্যায্য দামে ঢাকায় বিক্রির প্রতিশ্রুতিও দেয়া হয়।
মৌলভীবাজার বালকান্দি চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম সম্পাদক হাফিজ মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, চামড়া সংগ্রহের শুরু থেকেই সংরক্ষণে সুষ্ঠু ব্যবস্থানা থাকা এবং লবন ও জিলানী (চামড়া থেকে মাংশ পরিষ্কার করার লোক) শ্রমিক সংকট এবং গরমে ব্যাপক ভাবে চামড়া পচে নষ্ট হয়ে যায়। বালিকান্দি চামড়া ব্যবসায়ীরা তাদের সংগ্রহ করা শত শত পিছ গরু ও খাসির চামড়া নদীতে ফেলে দিয়েছেন।
এদিকে একাধিক চামড়া ব্যবসায়ী জানান, জেলা প্রশাসকের অনুরোধে এবছর সামান্য চামড়া ক্রয় করেছি। লবন সংকটের কারনে প্রায় ৫শতাধিক চামড়া নদীতে ফেলে দিতে হয়েছে। জেলার অর্ধশতাধিক চামড়া ব্যবসায়ী ব্যাপক উৎসাহ নিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে টাকা সংগ্রহ করে চামড়া ব্যবসায় বিনিয়োগ করেন।

মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র মো: ফজলুর রহমান বলেন, কুরবানির পশুর চামড়া নিয়ে যাতে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সে জন্য জন-প্রতিনিধি ও প্রশাসনের দায়িত্বশীল অফিসারদের নিয়ে মৌলভীবাজারে ট্রিমওর্য়াক করা হয়েছে। সিন্ডিকেটের কারনে সম্ভবনাময় চামড়ার ন্যায্য দাম পাওয়া যাচ্ছেনা বলে জানান মেয়র।
চামড়া ব্যবসার সাথে জড়িত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ বছর জেলার সাতটি উপজেলায় প্রায় অর্ধলাখ পশু কুরবানি দেয়া হয়েছে। এই খাতের সাথে জড়িয়ে আছে বিভিন্ন স্তরের বহু ব্যবসায়ী সহ দেশের এক বিশাল দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আয়-উপার্জন। একারণে চামড়ার লবনের পরিকল্পনা না নিলে প্রতি বছরই নষ্ট হবে জাতীয় সম্পদ এমনটাই মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

