মনজু বিজয় চৌধুরী: মৌলভীবাজার সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ইপিআই ভবনে ল্যাপ্রা বাংলাদেশ নামে একটি বিদেশি সংস্থা (কুষ্ঠ) রোগ বিষয়ে সাংবাদিকদের সচেতনতামূলক সভা করেছে। বুধবার সদর হাসপাতাল ইপিআই ভবনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ইক্ত অনুষ্ঠানে টমাছ দে টিটুর পরিচালনায় ও সিভিল সার্জন চৌধুরী জালাল উদ্দিন মুর্শেদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,সহকারী কমিশনার জেলা প্রশাসন বেলায়েত হোসেন,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদর্শন কুমার রায়,জেলা সমাজসেবা অফিসের উপ-পরিচালক হাবিবুর রহমান,ডা.পারলী দাস প্রমুখ।
বিভিন্ন বিষয় প্রজেক্টরের মাধ্যমে অবগত করেন ল্যাপরা বাংলাদেশের এরিয়া ম্যানেজার মোঃ জিয়াউর রহমান। সভায় জানানো হয়, এই রোগ হাঁচ কাশির মাধ্যমে ছড়িয়ে থাকে। রোগটি নির্নয়ে দেরী হওয়ার কারণ হলো রোগটি দেরীতে ধরা পড়ে। মৌলভীবাজারে এক লক্ষ মানুষের মধ্েয ৫ জনের বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।
সবচেয়ে আশংকাজনক বিষয় হলো দেশের ৯টি জেলায় এই রোগের প্রকোপ বেশি। তার মধ্েয মৌলভীবাজার হলো এক নম্বরে। এর মূল কারণ হলো-এ জেলায় চা বাগান বেশি। এসব বাগানের অধিকাংশ লোকজন অশিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত ও অসচেতন। যার কারণে চা বাগানে এই রোগের প্রকোপ বেশি। মৌলভীবাজার জেলায় বর্তমানে ৬৬০জন কুষ্ঠ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে। এর মধ্েয ৩৭জন শিশু ও রয়েছে। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত কুলাউড়া উপজেলা ও কম রাজনগর উপজেলায় বলে জানান। এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আগামী ২০৩০ সালের মধ্েয এই রোগ নির্মুলে কাজ শুরু করেছে। এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ ও এই রোগ সম্পূর্ণ নির্মুলে কাজ শুরু করেছে।অনুষ্ঠানে সাংবাদিকরা নিজেদের মতামত ব্যক্ত করে জানান,যেহেতু রোগটি হাঁচি কাশির মাধ্যমে ছড়ায় সেহেতু মাস্ক পরিধান করলে হয়তো এ রোগ থেকে অনেকটা রক্ষা পাওয়া যেতে পারে। উল্যেখ্য যে আগামী রোববার ২৯ জানুয়ারী বিশ্ব যক্ষা দিবস পালিত হবে। সেজন্য সাংবাদিকদের সাথে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *