মনজু বিজয় চৌধুরীমৌলভীবাজার পল্লীবিদ্যুৎ সমিতিতে সেচের নামে চলছে মোটা অংকের ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ। বর্তমান সরকারের উদ্যোগ সকল অনাবাদি জমিগুলো আবাদ করে খাদ্য শস্যের সংকট নিরসনে জন্য এরই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই চূড়ান্ত নির্দেশনা পর্বে কৃষকদের উৎসাহ উদ্দীপনা দিতে ক্ষেত্রে সরকারের ভূর্তকি দিচ্ছেন। আর এই সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে মৌলভীবাজার পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির কিছু অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীরা মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে করছেন বাণিজ্য। শ্রীমঙ্গল উপজেলার সিন্দুরখাঁন ইউনিয়নে শুকনো মৌসুমে চলমান বোরো আবাদ করতে এলটি- বি সেচের নামে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে উপজেলা সেচ কমিটিকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখি মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার ও সিন্দুরখাঁন সাব জোনাল অফিসের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার এর যোগসাজসে দেওয়া হয়েছে এলটি-বি সেচ লাইন সংযোগ। সেচ কমিটির নীতিমালা অনুযায়ী একই স্থানে একাধিক সেচ না দেওয়ার বিধান থাকলেও মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে এমন দূর্নীতিতে লিপ্ত হচ্ছেন মৌলভীবাজার পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার সাখাওয়াত হোসেন ও সিন্দুরখাঁন সাব- জোনাল অফিসে সহকারী জেনারেল ম্যানেজার মোঃ তারেক আহমদ। উপজেলা সেচ কমিটির নীতিমালা অনুযায়ী দুরত্ব নির্ধারণ করা থাকলে টাকার বিনিময়ে চাহিদা অনুযায়ী একই স্থানে দেওয়া হচ্ছে একাধিক এলটি-বি লাইন সংযোগ। জেনারেল ম্যানেজার নিকট অভিযোগ দেওয়ার পরও অভিযোগ তোয়াক্কা না করে দেওয়া হচ্ছে সেচের সংযোগ। পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তাদের কথা অমান্য করলে অজুহাত দেখিয়ে পূর্বের গ্রাহকের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে চাপ সৃষ্টি করে দেয়া হচ্ছে নতুন সংযোগ। সিন্দুরখাঁন ইউনিয়নের গোলগাও গ্রামের কৃষক হেলাল মিয়ার এলটি-বি সেচ যার হিসাব নং (০০৬/১২২৬) দীর্ঘদিন দিন যাবৎ কৃষকদের জমিতে পানি সরবরাহ করে আসছেন। একই স্থানে ৩ ফুট দুরত্বে অন্য একটি এলটি-বি সেচের জন্য আবেদন করেন সাহেনা বেগম নামের একই এলাকার এক মহিলা। উক্ত সেচ সংযোগ না দের জন্য অন্য দিকে লিখিত আপত্তি করেন জিএম নিকট হেলাল মিয়া। পরবর্তীতে হেলাল মিয়ার চলমান এলটি-বি সেচ অবৈধ দেখি সেচের সংযোগ লাইন বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। পরে মোটা অংকের ঘুষের বিনিময়ে একই স্থানে সাহেনা বেগম এর নামে ৩শত ফুট দুরে নতুন সেচ সংযোগ প্রদান করেন। শ্রীমঙ্গল উপজেলা সেচ কমিটি অনুমোদন সাপেক্ষে সিন্দুরখাঁন ইউনিয়ন কুঞ্জবন গ্রামের রিপন রায় নামের এক ব্যক্তিকে এলটি-বি সংযোগ দেয়া হয় যার হিসাব নং (৪০৩/৪৮৮৪)। পরবর্তীতে একই স্থানে ২০-৩০ মিটার দুরত্বে সেচের সংযোগের জন্য আবেদন করেন মোঃ সেলিম মিয়া গং। শ্রীমঙ্গল উপজেলা সেচ কমিটি উক্ত এলটি-বি সেচের অনুমোদন ও ছাড়পত্র দেন রিপন রায়ের এলটি-বি সেচ থেকে ১কিলোমিটার দুরে (সেলিম মিয়ার বাড়ীর পাশে)। উপজেলা সেচ কমিটিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার ও সহকারী জেনারেল ম্যানেজার যোগসাজশে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে একই স্থানে সেচের লাইন নির্মান করে দেন। রিপন রায় বলেন, আমি আদালতের মামলা করার প্রক্রিয়াধীন আছি। ১৩ ফেব্রুয়ারী আমি জেনারেল ম্যানেজার বরাবরে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছি। এব্যাপারে জেনারেল ম্যানেজার বরাবরে বার বার লিখিত অভিযোগ করেন রিপন রায় পল্লীবিদ্যূৎ কর্তৃক নেওয়া হয়নি কোন ভুমিকা। এবিষয়ে শ্রীমঙ্গল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান,আমরা তো নীতিমালা অনুযায়ী এলটি-বি সেচের জন্য ছাড়পত্র দিয়েছি ১কিলোমিটার দুরে। পল্লীবিদ্যুৎ লাইন নির্মান করলো কিভাবে? এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, এটা পল্লীবিদ্যুৎতের বিষয় আমরা আমাদের যতটুকু করার করেছি। তবে ছাড়পত্র অনুযায়ী আবেদনকারীকে সংযোগ দেওয়া উচিত বলে মনে করি। তাহলে আমাদের ছাড়পত্র ছাড়াই তো হতো। এব্যাপারে মৌলভীবাজার পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির জিএম সাখাওয়াত হোসেন বলেন,বিষয়টি দেখবো উপজেলা সেচ কমিটির অনুমোদন যে জায়গায় উল্লেখ করে দিয়েছেন, সেই জায়গাতেই লাইন নির্মান হবে। এমন আশ্বাস প্রদান করেন অথচ পাশাপাশি লাইন নির্মানের বাকী নেই তিনি নিজেই অবগত।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *